আমেরিকান কৃষ্ণাঙ্গদের ঠাঁই দেবে ঘানা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:৩২ পিএম, ১৮ জুন ২০২০ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৪:৫৩ পিএম, ১৮ জুন ২০২০ বৃহস্পতিবার
বক্তব্য রাখছেন ঘানা’র পর্যটন মন্ত্রী বারবারা ওটিংজ গোওসি- সিএনএন
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকদের ঠাঁই দিতে আগ্রহ দেখিয়েছে ঘানা। মার্কিন পুলিশের কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর সারা বিশ্ব উত্তাল। বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে আমেরিকার বিভিন্ন জায়গায়। এর আগেও আমেরিকায় কৃষ্ণাঙ্গদের উপর অত্যাচারের বহু ঘটনা সামনে এসেছে। কিন্তু জর্জ’র মৃত্যুর পর যেন কৃষ্ণাঙ্গদের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। খবর সিএনএন ও ঘানাইয়ান টাইমস’র।
আমেরিকায় গেঁড়ে বসেছে বর্ণবাদ। সে জন্য কৃষ্ণাঙ্গ জনগোষ্ঠীকে বর্ণবাদের পরিবেশ থেকে বাঁচাতে ঘানায় চলে আসতে বলেছে সেখানকার সরকার। ঘানার পর্যটন মন্ত্রণালয় আহবান জানিয়ে বলেছে, আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গরা এখানে এসে থাকতে পারে। আমরা নাগরিকত্ব দেব। আমেরিকার বর্ণবাদী চিন্তাধারা শিকার অনেকদূর পর্যন্ত ছড়িয়েছে। ঘৃণার এই পরিবেশ এত সহজে বদলাবে না।
ঘানায় জর্জ ফ্লয়েডের একটি আবক্ষ মূর্তি উন্মোচন করেছে সেখানকার সরকার। আমেরিকার মিনেসোটা অঙ্গ রাজ্যের শহর মিনিয়াপোলিসে পুলিশি বর্বরতার শিকার হয়েছিলেন জর্জ ফ্লয়েড। এমন নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গ সমাজ এক হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে।
ঘানার সরকারের পর্যটন মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আমেরিকায় থাকা প্রতিটি কৃষ্ণাঙ্গ আমাদের কাছে ভাই বোনের মতো। তারা নির্দ্বিধায় ঘানায় এসে থাকতে পারে। আমরা ব্যবস্থা করব। আমেরিকায় দিনের পর দিন বর্ণবিদ্বেষ বেড়ে চলেছে। এত সহজে এই হিংসার পরিবেশ দূর হবে না। একের পর এক ঘটনা কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি শ্বেতাঙ্গদের বিরূপ মনোভাবের প্রকাশ হয়ে উঠছে। কতদিন আর অত্যাচার সহ্য করবে কৃষ্ণাঙ্গরা। ঘানায় প্রতিটি কৃষ্ণাঙ্গ সুরক্ষিত থাকবে। এখানে থাকলে তারা নিজেদের বাড়িতে আছে বলেই অনুভূতি হবে। আমেরিকা থেকে যে কোনও কৃষ্ণাঙ্গ ঘানায় এসে থাকতে চাইলে আমরা স্বাগত জানাব। গোটা আফ্রিকা আপনাদের বাড়ি। আপনারা যেখানে খুশি এসে থাকতে পারেন। ঘানার দরজা প্রতিটি কৃষ্ণাঙ্গের জন্য সব সময় খোলা রয়েছে।
এমএস/এসি