হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি এড়াতে কতটুকু লবণ খাবেন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:৪৭ পিএম, ১৮ জুন ২০২০ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৪:৪৮ পিএম, ১৮ জুন ২০২০ বৃহস্পতিবার
লবণ ছাড়া যেন আমাদের চলেই না। খাবারের স্বাধ বাড়াতে লবণের বিকল্প নেই। আবার অনেকেই মনে করেন লবণ বেশি খেলে শরীরে পানির পরিমাণ বেড়ে যায় আর শরীর অনেক বেশি ফোলা দেখায়। আর তাই যাঁরা রোগা হওয়ার জন্য ডায়েট করছেন, তাঁরা খাবারে লবণের পরিমাণ কমিয়ে দেন। কিন্তু বেশি নুন খেলে সত্যিই কি ওজন বাড়ে? বিশেষজ্ঞ পুষ্টিবিদদের মতে, এই ধারণা পুরোপুরি সঠিক নয়। অতিরিক্ত মাত্রা নুন খেলে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা মাথা চাড়া দিতে পারে।
আমাদের নিত্যদিনের খাদ্য তালিকার একটি অপরিহার্য উপাদান হল নুন। নুন ছাড়া রান্না প্রায় হয় না বললেই চলে। কিন্তু এ কথাও আমরা অনেকেই জানি যে, অতিরিক্ত মাত্রায় নুন খেলে বাড়ে রক্তচাপ। অতিরিক্ত মাত্রায় নুন খেলে শুধু রক্তচাপ বাড়াই নয়, একই সঙ্গে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা মাথা চাড়া দিতে পারে। বাড়ে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকিও! অন্তত এমনটাই জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বছর খানেক আগের একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, প্রতি বছর ১৬ লক্ষেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয় শরীরে অতিরিক্ত সোডিয়াম জমা হওয়ার কারণে। আর শরীরে সোডিয়ামের যোগান বা ভারসাম্য বজায় রাখে লবণ। ২০১৭ সালে দিল্লিতে আয়োজিত তিন দিনের এক সম্মেলনে আন্তর্জাতিক স্নায়ু বিশেষজ্ঞরা জানান, ভারতে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়া রোগীর মধ্যে ২০ শতাংশের বয়স ৪০ বছরের নীচে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু-এর নির্ধারিত পরিমাণ অনুযায়ী দিনে ৫ গ্রামের বেশি লবণ খাওয়া একেবারেই উচিৎ নয়। গবেষকরা ১৮৭টি দেশের সাধারণ মানুষের উপর সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন বহু ক্ষেত্রেই দিনে ৫ গ্রামের চেয়ে বেশি পরিমাণ নুন খেয়ে থাকেন অধিকাংশ দেশের মানুষ। ওই গবেষণায় জানা গিয়েছে, গোটা বিশ্বের হিসাবে একজন মানুষ গড়ে ৩.৯৫ গ্রাম নুন খেয়ে থাকেন। তবে মধ্য এশিয়ায় বসবাসকারী মানুষের নুন খাওয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। এই অঞ্চলে বসবাসকারী কোনও ব্যক্তি দিনে গড়ে প্রায় ৫.৫১ গ্রাম নুন খেয়ে থাকেন। এ অঞ্চলের একজন ব্যক্তি দিনে গড়ে প্রায় ১০ গ্রাম লবণ খান যা নির্ধারিত পরিমাণের দ্বিগুণ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, অতিরিক্ত মাত্রায় লবণ খাওয়ার অভ্যাস হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে প্রতিদিন ৫ গ্রামের বেশি নুন (এক চায়ের চামচ) খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
এসি