রাহুল গান্ধিকে জবাব দিলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:২০ পিএম, ১৮ জুন ২০২০ বৃহস্পতিবার
গলওয়ানে ভারতীয় সেনা নিরস্ত্র অবস্থায় হামলার মুখোমুখি হয়েছিল কেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দেশটির বিরোধীদলের নেতারা। সেই প্রশ্নের জবাব দিলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বৃহস্পতিবার তিনি এক টুইটে লেখেন, ‘সোজাসুজি বিষয়ে আসা যাক। সীমান্তে মোতায়েন সব বাহিনীই সশস্ত্র থাকে। বিশেষত যখন তারা শিবির ছেড়ে বাইরে যাচ্ছে সে সময়। গলওয়ানেও ১৫ জুন তা-ই হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিনের প্রথা (১৯৯৬ এবং ২০০৫ সালের চুক্তি অনুযায়ী) মেনে মুখোমুখি সংঘাতের সময় অস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি।’
এদিনই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গলওয়ান উপত্যকাতে নিজেদের এলাকা হিসেবে চীনের দাবি মেনে নেওয়ার প্রশ্নই নেই। সেই সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তবের ঘোষণা করেন, ‘সোমবার রাতের সংঘর্ষের ঘটনার পরে কোনও ভারতীয় সেনা নিখোঁজ হননি।’
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি গলওয়ানে চীনের হামলার নিন্দার পাশাপাশি কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘তিনি বলেন গলওয়ানে নিরস্ত্র ভারতীয় সেনাদের হত্যা করে চীন জঘন্য অপরাধ করেছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, ভারতের বীর সেনানীদের কারা নিরস্ত্র অবস্থায় ঐ পরিস্থিতিতে ঠেলে দিলেন?’ সেই মন্তব্যেরই জবাবে এদিন জয়শঙ্কর পূর্বতন অ-বিজেপি সরকারগুলির আমলের সীমান্ত প্রোটোকলের প্রসঙ্গের অবতারণা করেন। এইচ ডি দেবগৌড়া এবং মনমোহন সিংহের প্রধানমন্ত্রিত্বের সময় স্বাক্ষরিত ওই দুইটি সীমান্ত প্রোটোকলে বলা হয়েছিল, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় মুখোমুখি অবস্থানের সময় সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হলেও কোনও পক্ষই আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করবে না।
পূর্ব-লাদাখের গলওয়ানে পেট্রোলিং পয়েন্ট-১৪ থেকে কিছুটা দূরে সংঘর্ষস্থলসহ পুরো এলাকা চীনের ভূখণ্ড বলে বুধবার সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণায়ের দাবি। কিন্তু অনুরাগ এদিন বলেন, ‘হামলার ঘটনা ঘটেছে ভারতীয় ভূখণ্ডেই।’ তবে উত্তেজনা প্রশমনে কূটনৈতিক ও সেনাস্তরের বৈঠক জারি রয়েছে এবং তা ধারাবাহিকভাবে চলবে বলে জানান তিনি। সোমবার রাতের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জখম কয়েকজন জওয়ান খরস্রোতা শিয়োক নদীতে ভেসে যেতে পারে বলে বিভিন্ন খবরে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু এদিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সরাসরি তা খারিজ করেছেন।
এমএস/এসি