করোনায় দৈনন্দিন রুটিন নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:১২ এএম, ১৯ জুন ২০২০ শুক্রবার | আপডেট: ১১:১২ এএম, ১৯ জুন ২০২০ শুক্রবার
বৈশ্বিক করোনাভাইরাস চলমান জীবন ব্যবস্থাকে ওলটপালট করে ফেলেছে। এই ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বড়দের দৈনন্দিন রুটিন আজ এলোমেলো হয়ে গেছে। তবে জীবন তো আর থেমে থাকবে না, এর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটাই হবে যুক্তযুক্ত কাজ। তাই জীবন চালাতে নতুন ছকের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। কি করে এই ছক বা রুটিন চালু করবেন, আবার কোন রুটিন আপনার সহায়ক হতে পারে এ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
করোনাকালীন রুটিন তৈরি করুন সহজ ও সঙ্গতিপূর্ণ
* প্রতিদিনের সময়গুলো নিয়ে এমন রুটিন তৈরি করুন, যাতে সবার ক্ষেত্রে সময়টা গঠনমূলক কাজে ব্যয় হয়।
* সন্তানদের জন্য ঘরেই লেখাপড়ার সময়সূচি তৈরি করতে পারেন।
* অবশ্যই সবার জন্য অবসরের সময় রাখবেন।
* প্রতিদিনের রুটিনে ব্যায়ামের সময় রাখুন। তা একত্রেও হতে পারে অথবা সুবিধা মতো ভিন্ন ভিন্ন সময়েও হতে পারে।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিয়ে সন্তানদের ধারণা দিন
* কোভিড-১৯ রোগটি সাধারণত সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায়। তাই এ থেকে বাঁচতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই চলতে হবে। আপনি যেমন সামাজিক দূরত্বের নিয়মকানুন ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন, তেমনি আপনার সন্তানদেরও শিখতে সাহায্য করুন।
* ডাব্লিউএইচও বলছে, আপনার দেশে যদি অনুমতি থাকে তাহলে সন্তানকে নিয়ে বাইরে যেতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার এলাকাটি লকডাউনে আছে কি না, আশপাশের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিন।
* শিশু-কিশোরদের সামাজিক দূরত্বের বিষয়ে লিখে ও ছবি এঁকে সচেতন করতে পারেন।
* কখনই আতঙ্ক সৃষ্টি করবেন না। সন্তানদের আশ্বস্ত করুন যে, তারা নিরাপদ।
* রুটিন তৈরির ক্ষেত্রে সন্তানদের পরামর্শ শুনুন এবং তা গুরুত্বের সঙ্গে নিন।
হাত ধোয়া ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাকে আনন্দদায়ক করে তুলুন
* ডাব্লিউএইচও করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধিতে হাত ধোয়ার কথা বলেছে। তাই শিশু সন্তানদের হাত ধোয়ার বিষয়টিকে আনন্দদায়ক করুন। এ জন্য ২০ সেকেন্ডের গান তৈরি করতে পারেন। তার সঙ্গে যোগ করতে পাররেন মজার কিছু দেহভঙ্গিও।
* বার বার হাত ধোয়ার জন্য সন্তানদের প্রশংসা করুন।
* খেলার ছলে কে কতবার নাক-মুখ-চোখ স্পর্শ করছে, তা নির্ণয় করতে পারেন। সবচেয়ে কম স্পর্শ করবে যে, তার জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা করুন।
দিন শেষে সারাদিনের কার্যক্রম সম্পর্কে এক মিনিট হলেও ভাবুন। সারাদিনে সন্তানদের করা ইতিবাচক বা মজার কাজ সম্পর্কে তাদের বলুন। এতে করে তারা আরও বেশি উৎসাহিত হবে। ভালোভাবে সবকিছু সম্পন্ন করার জন্য নিজের প্রশংসা করতে ভুলবেন না।
এএইচ/এমবি