ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

চীনের ‘ফাইভ ফিঙ্গার স্ট্র্যাটেজি’ নিয়ে ভারতকে সতর্ক করল তিব্বত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:০২ পিএম, ১৯ জুন ২০২০ শুক্রবার

লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষে ১৫ জুন মধ্যরাত থেকে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ৫৮ বছর পর ফের সীমান্তে দুই দেশের সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। এবার সীমান্তের ইস্যুতে চীন খুবই মরিয়া বলে দাবি করছে ভারতীয় গণমাধ্যম। চীনের এ আগ্রাসী মনোভাবের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে ভারতকে সতর্ক করল তিব্বত। খবর জিনিউজ

সেন্ট্রাল তিব্বত অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রেসিডেন্ট লোবসাং সাঙ্গে বেশ দায়িত্ব নিয়ে জানিয়েছেন, ‘চীনের মাস্টারপ্ল্যানের একটি অংশ হল লাদাখ। গোটা হাত দখল করতে নেমেছে চীন। লাদাখ তার একটি আঙুল মাত্র। চীন আসলে ফাইভ ফিঙ্গার স্ট্র্যাটেজি মেনে কার্যকলাপ চালায়। তার একটা ক্ষুদ্র অংশ হল লাদাখ।’

চীনে পাঁচ আঙুলের যুদ্ধনীতি চালু করেছিলেন ‘পিপলস রিপাবলিক  অফ চায়না’র প্রতিষ্ঠাতা মাও সে তুং। লোবসাং’র ব্যাখ্যা হল, ‘চীন যখন তিব্বত দখল করেছিল তখন মাও সে তুং আর চিনের সমসাময়িক অন্য নেতারা মনে করতেন, তিব্বত হল হাতের তালু। যা দখল করতেই হত চীনকে। এরপর বাকি ৫টা আঙুল দখল করে অধিকারের পরিসীমা বাড়াতে হবে। এই ৫টি আঙুলের প্রথমটি হল লাদাখ। বাকি ৪টি হল নেপাল, ভূটান, সিকিম এবং অরুণাচল প্রদেশ।’

১৯৬২ সালে ভারত- চীনের মধ্যে লাদাখ সীমান্তে যুদ্ধ হয়েছিল। এত বছর পর ফের গালওয়ান উপত্যকায় হানা চীনা সেনার। এখনও গালওয়ানে ঘাঁটি গেড়ে বসে লাল ফৌজ। মুখে আলোচনা চাইলেও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ভূখণ্ড দখল করার। লোবসাং মনে করিয়ে দেন, ২০১৭ সালে ডোকলাম সংঘর্ষ সেই ফাইভ ফিঙ্গার স্ট্র্যাটেজিরই অংশ। এই নিয়ে তিব্বতি নেতা গত ৬০ বছর ধরে ভারতকে সতর্ক করে আসছে। সীমানা বাড়াতে লাদাখের পর চীনের পাখির চোখ নেপাল, ভূটান, সিকিম এবং অরুণাচলপ্রদেশ। তিব্বতের সঙ্গে যা হয়েছে তা দেখে ভারতের শিক্ষা নেওয়া উচিত বলে মনে করেন সেন্টাল তিব্বত অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রেসিডেন্ট লোবসাং সাঙ্গে।

এমএস/এসি