ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

যেভাবে আত্মঘাতী হওয়া থেকে বেঁচে যান মোহাম্মদ শামি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:০৫ পিএম, ১৯ জুন ২০২০ শুক্রবার | আপডেট: ০৫:১৫ পিএম, ১৯ জুন ২০২০ শুক্রবার

মানসিক অবসাদ থেকে আত্মহত্যা। মনের অসুখ সারাতে নিজেকে শেষ করে ফেলার পরিকল্পনা। এক অদ্ভুত উথাল-পাথাল! সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যা আরও একবার দেখিয়ে দিয়ে গেল, পাশে কেউ না থাকলে মানসিক অবসাদ থেকে একাকীত্ব কীভাবে গ্রাস করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয় মানুষকে। কেরিয়ারের খারাপ সময় কিংবা পারিবারিক অশান্তি অনেক মানসিক ধাক্কা সামলাতে হয়েছে টিম ইন্ডিয়ার পেসার মোহাম্মদ শামিকেও। 

চলমান লকডাউনে এক ভিডিও চ্যাটে কথাগুলো বলেও ছিলেন তিনি। তিনি নাকি তিনবার আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু পরিবার পাশে থাকায় সব ধাক্কা সামলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন বলেই জানালেন শামি।

কেন আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলেন শামি? লকডাউনে ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মার সঙ্গে চ্যাটে তিনি জানিয়েছিলেন, ২০১৫ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর চোটের জন্য দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে ছিলেন মোহাম্মদ শামি। প্রায় দেড় বছর লাগে পুরোপুরি সুস্থ হতে। এটাই ছিল তাঁর জীবনের অন্যতম যন্ত্রণা। এর পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনে নেমে আসে সমস্যার পাহাড়। স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক অশান্তিতে জর্জরিত হতে থাকেন ভারতীয় পেসার। সেই কঠিন সময়গুলোতে আত্মহত্যার কথা ভাবলেও সবসময় পরিবারের লোকজনকে পাশে পেয়েছিলেন শামি।

এদিকে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনা প্রসঙ্গে মোহাম্মদ শামি জানান, "অবসাদ একটা সমস্যা! নজর দেওয়া প্রয়োজন। এটা খুবই দুঃখজনক যে, সুশান্ত সিং রাজপুতের মতো অসাধারণ একজন অভিনেতা কীভাবে চলে গেল। আমি যদি তার মানসিক যন্ত্রণার কথা জানতাম তাহলে বন্ধু হিসেবে কথা বলতাম। আমার ক্ষেত্রে কী হয়েছিল, আমার খারাপ সময়ে আমার গোটা পরিবার পাশে ছিল। পরিবারের লোকজন আমাকে বুঝিয়েছিল যে লড়াই করে ফিরে আসতে হবে আমাকে, সবাই তোমার পাশে আছে। একটা সময় এসেছিল যে আমি আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলাম, তখন পরিবারের লোকজন বলেছিল আমি একা নই, কেউ না কেউ আমার সঙ্গে সবসময় থাকত। কাছের মানুষজনের সঙ্গে কথা বলা দরকার। দরকার কাউন্সেলিং-এর। আর এভাবেই অবসাদ দূর হতে থাকে।"

এনএস/