ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

সর্বদলীয় বৈঠকে প্রশ্নের মুখে মোদী 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:০০ পিএম, ১৯ জুন ২০২০ শুক্রবার | আপডেট: ০৯:৩৩ পিএম, ১৯ জুন ২০২০ শুক্রবার

সরকার ঘুমিয়ে না থাকলে কি লাদাখের ঘটনা ঘটতে পারত? প্রশ্ন তুলছে বিরোধী দলগুলো। আজ শুক্রবার সর্বদল বৈঠকে বসলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গলওয়ান উপত্যকায় ঠিক কী ঘটেছিল, এখন কী পরিস্থিতি সীমান্তের, এর পরে কী করতে চাইছে সরকার-এই সব বিষয়ই দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলগুলির শীর্ষ নেতৃত্বকে আজকের বৈঠকে জানানোর কথা প্রধানমন্ত্রীর।

তবে বৈঠক শুরুর আগেই দেশের বৃহত্তম বিরোধী দলের নেতা রাহুল গান্ধীর তোপ, সরকারের অসতর্কতার মূল্য জীবন দিয়ে দিতে হয়েছে জওয়ানদের। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী কী বলবেন? সাফাই দেবেন, নাকি ত্রুটি স্বীকার করবেন? নাকি একেবারেই এড়িয়ে যাবেন বিরোধীদের প্রশ্নগুলো? খবর আনন্দবাজার পত্রিকা’র। 

বিকেল ৫টায় ভিডিও কনফারেন্সে এ বৈঠক শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছাড়াও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বৈঠকে রয়েছেন। বিজেপির পক্ষ থেকে রয়েছেন সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডা। কংগ্রেসের তরফে রয়েছেন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি। 

প্রতিনিধি না পাঠিয়ে সব দলের শীর্ষ পদাধিকারীরাই যেন বৈঠকে যোগ দেন এমন অনুরোধ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। অনুরোধে সাড়া দিয়ে তৃণমূলের তরফেও বৈঠকে যোগ দিয়েছেন দলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। এ ছাড়া বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ও জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেডি সভাপতি নবীন পট্টনায়ক, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ও শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরে, এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার, সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব, বহুজন সমাজ পার্টির সুপ্রিমো মায়াবতী, ডিএমকে প্রধান এম কে স্ট্যালিনও এই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। আমন্ত্রণ পেয়েছেন সিপিআই’র ডি রাজা, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরিও।

বিতর্ক তৈরি হয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি প্রধান অরবিন্দ কেজরীবাল আমন্ত্রণ না পাওয়ায়। আমন্ত্রণ পায়নি লালুপ্রসাদের আরজেডি, আসাদউদ্দিন ওয়াইসির এআইএমআইএম-ও। দেশের সীমান্তে যখন বিপজ্জনক সঙ্ঘাতের পরিস্থিতি, তখন প্রধানমন্ত্রীর সর্বদল বৈঠকে এই দলগুলিকে কেন ডাকা হল না? এখানেও কি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে চাওয়া হল? এমন প্রশ্ন তোলা শুরু হয়েছে দলগুলো থেকে। কিন্তু সরকার জানিয়েছে, যে বিবেচনায় দলগুলোকে ডাকা হয়েছে সে নির্ধারকের মধ্যে আরজেডি, আম আদমি বা এআইএমআইএম পড়ছে না। 

কী মাপকাঠি নির্ধারণ করেছে কেন্দ্র? যে সব দল জাতীয় দল হিসেবে স্বীকৃত অথবা লোকসভায় যে সব দলের অন্তত ৫ জন সাংসদ রয়েছেন অথবা যে সব দল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রয়েছে, তাদেরই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সর্বদল বৈঠকে। উত্তর-পূর্ব ভারতের ক্ষেত্রে অবশ্য সে নিয়মে ব্যতিক্রম রয়েছে। যে হেতু উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি ছোট ছোট এবং সংসদে ওই রাজ্যগুলির অধিকাংশেরই আসনসংখ্যা কম, সে হেতু তাদের জন্য জাতীয় দলের তকমা বা লোকসভায় ৫ আসনের মাপকাঠি রাখা হয়নি। উত্তর-পূর্বের সব গুরুত্বপূর্ণ দলকেই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

সব মিলিয়ে ২০টি দল বৈঠকে যোগ দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। লাদাখের পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রী নিজেই ব্যাখ্যা করতে পারেন দলগুলির সামনে। সরকার এই পরিস্থিতিতে কী করতে চাইছে, তা-ও জানাতে পারেন তিনি। তার প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতও জানতে চাইতে পারেন। গোটা দেশের নজর আজ এই বৈঠকের দিকে।

এমএস/এসি