ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

বার্সা ছেড়ে যাচ্ছেন র‍্যাকিটিচ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:১৯ পিএম, ২০ জুন ২০২০ শনিবার

প্রিয় ন্যু ক্যাম্পেই থেকে যেতে চাইছেন তিনি। কিন্তু চুক্তি নবায়ন নিয়ে গড়িমসি করছে কাতালান জায়ান্ট ক্লাব বার্সেলোনা। যে কারণে দীর্ঘ দিন ধরেই ঝুলে আছে ইভান র‍্যাকিটিচের ভাগ্য। তাকে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয় বার্সা। অবশেষে নিজ থেকেই সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার। শুক্রবার (১৯ জুন) বার্সা জানিয়েছে, সাবেক ক্লাবে ফিরে যাচ্ছেন র‍্যাকিটিচ।

২০১৪ সালে ২০ মিলিয়ন ইউরোতে বার্সেলোনায় যোগ দেয়ার আগে আরো তিনটি ক্লাবে খেলেছেন র‍্যাকিটিচ। ২০০৫ সালে সুইস ক্লাব এফসি বাসেলের হয়ে শুরু। দুই বছর সেখানে কাটানোর পর জার্মান ক্লাব শালকে জিরো ফোরে খেলেছেন চার বছর। এরপরই স্প্যানিশ ফুটবলে পাড়ি জমান ক্রোয়েশিয়ান তারকা; নাম লেখান সেভিয়াতে।

২০১১ সালে স্প্যানিশ ক্লাবটিতে যোগ দেন র‍্যাকিটিচ। ফের এই ক্লাবেই ফেরার কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়ে গেছে। সেভিয়ার সঙ্গে র‍্যাকিটিচ ও বার্সার আলোচনা হয়েছে। সেখানে ঐক্যমতে পৌঁছেছে তিন পক্ষ-ই। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করেছে স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মুন্ডো দিপোর্তিভো। বার্সা তাদের অফিসিয়াল টুইটার পেজেও এর সত্যতা জানাব দিয়েছে, ‘সেভিয়ায় ফিরতে প্রস্তুত রাকিটিচ।’

চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই বার্সেলোনার একাদশে অনিয়মিত হয়ে পড়েন র‍্যাকিটিচ। তার পজিশনে খেলার মতো কয়েকজন ফুটবলারই আছেন দলে। তন্মধ্যে অন্যতম ফ্রেঙ্কি ডি জং। এই মৌসুমে ডাচ তরুণ ফুটবলার বার্সায় আসার পর থেকেই যেন কপাল পুড়েছে আরেক মিডফিল্ডার আর্তুরো ভিদালেরও। ডি জংয়ের কারণে একাদশে নিয়মিত সুযোগ হচ্ছে না ভিদাল ও র‍্যাকিটিচের।

সাইড বেঞ্চ গরম করতে করতে দুজনই এখন চরম বিরক্ত। প্রচারমাধ্যমে সেই হতাশার কথাও প্রকাশ করেছেন তারা। এর মধ্যেই বিদায় ঘণ্টা বেজে গেল র‍্যাকিটিচের। কদিনের মধ্যেই ন্যু ক্যাম্প ছেড়ে সেভিয়ায় যাচ্ছেন ক্রোয়েশিয়ান তারকা। যেখানে এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার চার বছরে খেলে ১১৭ ম্যাচে গোল করেছেন ২৭টি।

এদিকে, বার্সায় ছয় বছরের ক্যারিয়ারে গোল করেছেন মাত্র ২৪টি। কাতালানদের হয়ে তার ম্যাচ সংখ্যা যদিও অনেক বেশি, ১৯২টি। বার্সায় শুরুর দিকটায় আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার সঙ্গে মধ্য মাঠে জুটি বেঁধেছিলেন তিনি। বার্সার ‘এমএনএস’ ত্রয়ীর জন্য আক্রমণের জোট বেঁধে দিতেন এই জুটিই। যাতে সাফল্যও আসে ভুরি ভুরি।

এনএস/