ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ২১ ১৪৩১

সুস্থ হয়ে উঠছেন নাফিস ইকবাল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:১৮ পিএম, ২০ জুন ২০২০ শনিবার | আপডেট: ০৬:২২ পিএম, ২০ জুন ২০২০ শনিবার

ছোট ভাই তামিমের সঙ্গে বড় ভাই নাফিস

ছোট ভাই তামিমের সঙ্গে বড় ভাই নাফিস

ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের বড় ভাই নাফিস ইকবাল। আজ শনিবার নিজের ফেসবুকে এমনটাই জানিয়েছেন জাতীয় দলের প্রাক্তন এ ওপেনার। 

সাবেক এ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান দোয়া চেয়ে লিখেছেন, 'মাঝে কিছুদিন খুব দুর্বল ছিলাম। মুখে কোনো স্বাদ ছিল না। কিন্তু এখন ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছি। দোয়া করবেন যেন এখান থেকে আর কোনো বিপদ না হয়। বাসায় আছি। আইসোলেটেড হয়ে আছি। দোয়া করবেন যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠি।’

শুক্রবার (১৯ জুন) রাত থেকেই নাফিসের করোনা আক্রান্তের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাসতে থাকে। তবে এ নিয়ে গুঞ্জণ ছিল আগে থেকেই। সংবাদমাধ্যমে সে বিষয়টিও নিশ্চিত করেছেন, ‘অনেকের ফোনই ধরতে পারিনি। পরিস্থিতি আপনারা জানেন। ভালো লাগছে যে আপনারা সবাই দোয়া করছেন, খবর নিচ্ছেন। জানি, সবাই আমাকে ভালোবাসেন। আমিও ভালোবাসি।’

দশ দিন আগে থেকে করোনার উপসর্গ ধড়া পরে উল্লেখ করে নাফিস বলেন, ‘১০ দিন আগে আমার শরীরে (করোনা) লক্ষণ ধরা পড়ে। জ্বর, শরীর ব্যথা ছিল। দু-তিন দিন থাকে। এরপর আমি পরীক্ষা করাই। দুদিন পর পরীক্ষার ফলে জানতে পারি আমি পজিটিভ।'

উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হোম ভেন্যু চট্রগ্রামে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল সম্ভাবনাময় এই ক্রিকেটারের। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০০৫ সালে কার্ডিফের স্মরণীয় সেই ম্যাচটিই হয়ে আছে নাফিসের ক্যারিয়ারের শেষ একদিনের ম্যাচ। লম্বা দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটের প্রথম ম্যাচটি খেলেছিলেন ঢাকায় ২০০৪ সালে। প্রতিপক্ষ ছিলো নিউজিল্যান্ড। আর শেষ ম্যাচটি খেলেছেন ২০০৬ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে বগুড়ায়।

তামিম অগ্রজ নাফিস ইকবাল জাতীয় দলের জার্সিতে ১৬টি ওয়ানডে, ১১টি টেস্ট খেলেছেন। দুই ফিফটিতে একদিনের ম্যাচে তার সংগ্রহ ৩০৯ রান। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে এক সেঞ্চুরি ও দুই ফিফটিতে করেছেন ৫১৮ রান।

এনএস/