ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

যুক্তরাজ্যের পার্কে ছুরি হামলায় নিহত ৩

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৪৭ পিএম, ২১ জুন ২০২০ রবিবার

ছবি-এএফপি

ছবি-এএফপি

যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় রিডিং শহরে এক ব্যক্তির ছুরি হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া এ ঘটনায় আরও তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যার দিকে শহরটির ফোরবুরি পার্কে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে ২৫ বছর বয়সী এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। একজনের হাতে ঘটা এ ঘটনা সন্ত্রাসবাদী হামলা নয় বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।

হামলাকারী লিবিয়ার নাগরিক বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনার কিছুক্ষণ আগে পার্কটিতে বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ হলেও ছুরি হামলার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে ধারণা করছে পুলিশ। খবর বিবিসি ও সিএনএনের।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পার্কের মধ্যে এক ব্যক্তি একদল লোকের মধ্যে থেকে আরেক দলের কাছে গিয়ে তাদের ছুরিকাঘাত করে।

ছুরি হামলা থেকে দৌঁড়ে বেঁচে যাওয়া যুবক লরেন্স ওর্ট জানান, পার্কে সন্ধ্যায় প্রচুর লোকজন বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে বসে গল্প করছিলেন তিনি। ওই সময় হামলাকারী চিৎকার করে কিছু বলেই অন্তত ১০ জনের একটি দলের মধ্যে এলোপাতাড়ি ছুরি চালায়। তার ছুরিকাঘাতে গলা ও বাহুতে জখম হয় অন্তত ছয়জন। এদের তিনজন মারা যায়।

লরেন্স বলেন, ওই ব্যক্তি ছুরি নিয়ে আমার দিকেও আসছিল। আমি দৌড়ে পালিয়ে রক্ষা পাই।

এ ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই এক পুলিশ কর্মকর্তা সন্দেহভাজনকে জাপটে ধরে মাটিতে ফেলে দিয়ে তাকে নিয়ন্ত্রণে আনেন।

টেমস ভ্যালি গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান আয়ান হান্টার জানান, এ হামলার ঘটনায় আর কারও খোঁজ করছেন না তারা। কারণ এ ঘটনাকে সন্ত্রাসবাদী কিছু বলে বিবেচনা করা হচ্ছে না। তবে ঘটনাস্থলে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী পুলিশ কর্মকর্তাদের তলব করা হয়েছে।

টেমস ভ্যালি পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার আগে পার্কটিতে বর্ণবাদবিরোধী ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনের একটি প্রতিবাদ সভা হলেও হামলার ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই।

বিক্ষোভ আয়োজকদের একজন নাইমা হাসান বলেন, ওই হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করেছি। আমাদের কেউ ওই হামলার শিকার হয়নি।

এদিকে হামলার ঘটনায় নিহতদের জন্য গভীর শোক ও আহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ঘটনাস্থলে থাকা জরুরি বিভাগের কর্মকর্তাদের ‘ধন্যবাদ’ জানিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যে জনাকীর্ণ রাস্তা, পার্কসহ বিভিন্ন স্থানে প্রায়ই ছুরি হামলার ঘটনা ঘটে।

এমবি//