প্রতিষেধক ছাড়াই করোনা নির্মূল হবে: ইতালি গবেষক
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:১৫ পিএম, ২২ জুন ২০২০ সোমবার
মহামারী করোনাভাইরাস এ পর্যন্ত সাড়ে ৪ লাখেরও বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। তাই ভাইরাসটিকে প্রতিহত করতে উঠেপড়ে লেগেছেন বিজ্ঞানীরা। ১০০টিরও বেশি ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন তারা। এর মধ্যে অন্তত তিনটি করোনা প্রতিষেধক বাজারে আসার অপেক্ষায় রয়েছে, চলছে এর চূড়ান্ত পর্বের ট্র্যায়াল। তবে প্রতিষেধকের নাকি আর প্রয়োজনই হবে না। কারণ, নিজে থেকেই সম্পূর্ণ নির্মূল হয়ে যাবে করোনাভাইরাস! এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন ইতালির প্রথম সারির এক গবেষক।
ইতালির সান মার্টিনো জেনারেল হাসপাতালের সংক্রামক রোগের প্রধান গবেষক অধ্যাপক মাত্তিও বাসেত্তি দাবি করেন, শক্তি হারিয়ে ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে করোনাভাইরাস। শুধু তাই নয়, কোনও রকম প্রতিষেধক ছাড়াই এই ভাইরাস সম্পূর্ণ নির্মূল হয়ে যাবে। তিনি জানান, করোনা রোগীরাও এখন আগের তুলনায় অনেকটাই দ্রুত সেরে উঠছেন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই।
অধ্যাপক বাসেত্তি দাবি করেন, মহামারির শুরুর দিকে করোনা সংক্রমণের আগ্রাসন যতটা লক্ষ্য করা গিয়েছে, এখন সে তুলনায় প্রাণঘাতী ভাইরাসটির তেজ অনেকটাই কমে এসেছে। তাঁর মতে, এর জন্য এই ভাইরাসের সাম্প্রতিক জিনগত পরিবর্তনই হয়তো দায়ী। কারণ, জিনগত পরিবর্তনের ফলে এই ভাইরাসের আগ্রাসন বা প্রাণঘাতী ক্ষমতা এখন অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে।
কিন্তু অধ্যাপক মাত্তিও বাসেত্তির এই যুক্তি মেনে নিতে নারাজ বিশ্বের একাধিক দেশের বিজ্ঞানীরা। তাঁদের যুক্তি, ইতালির এই গবেষকের দাবির স্বপক্ষে তেমন কোনও তথ্যই তিনি পেশ করতে পারেননি। উন্নত চিকিত্সার কারণে বা সামাজিক দূরত্বের ফলেই হয়তো মানুষ এখন আগের মতো করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন না।
তবে এর আগেও এমনটাই দাবি করেছিলেন ইতালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুসকোনির ব্যক্তিগত চিকিৎসক আলবার্তো জাংরিলো। একটি সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছিলেন, “ক্লিনিক্যালি করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব আর নেই!”
এ বিষয়ে ডাব্লিউএইচও’র মহামারী বিশেষজ্ঞ মারিয়া ভ্যান কেরখোভ জানান, জাংরিলোর বক্তব্যের কোনও বিজ্ঞান ভিত্তিক জোরালো প্রমাণ নেই। তিনি জানান, সংক্রমণ বা তীব্রতা কোনও ক্ষেত্রেই করোনাভাইরাসের শক্তি হারানোর তথ্য বা প্রমাণ এখনও পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের হাতে আসেনি। ৩৫ হাজারেরও বেশি ভাইরাসের জিনগত তথ্যের বিশ্লেষণ করার পরও করোনাভাইরাসের দুর্বল হয়ে পড়ার কোন তথ্য বা প্রমাণ মেলেনি।
এএইচ/