ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

ডেঙ্গু প্রতিরোধে মাঠে নেমেছে হিলি পৌরসভা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:২৯ পিএম, ২২ জুন ২০২০ সোমবার | আপডেট: ০৫:৩০ পিএম, ২২ জুন ২০২০ সোমবার

দিনাজপুরের হিলিতে করোনা ভাইরাসের সংক্রামণ প্রতিরোধের পাশাপাশি ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে মাঠে নেমেছে হিলি পৌরসভা কতৃপক্ষ। মশার উৎপত্তি স্থল পরিচ্ছন্ন রাখতে জনসচেতনতার পাশাপাশি সড়কসহ বিভিন্নস্থানে ছিটানো হচ্ছে জীবানুনাশক। বর্ষার আগেই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে ছোটবড় সকল ধরনের ড্রেন। পৌরবাসীকে ডেঙ্গুর হাত থেকে রক্ষা করতে পৌরসভার এমন কর্মকান্ডকে স্বাগত জানিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী।

সরেজমিন পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে,পৌরশহরের রাজধানী মোড়, চুড়িপট্টি, বাজার, সিপি রোড, ফকিরপাড়া, চারমাথা,বাসস্ট্যান্ড,পালপাড়া,ডাঙ্গাপাড়া,মাঠপাড়া, চন্ডিপুর ও মুহাড়াপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত ড্রেনগুলোতে জমে থাকা ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করা হচ্ছে। একই সাথে সীমান্তের চেকপোষ্ট সড়ক থেকে শুরু করে পৌরসভার সকল স্থানে ছিটানো হচ্ছে জীবানুনাশক। একইভাবে পৌরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মশার উৎপত্তিস্থল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। একইভাবে বিভিন্ন স্থানে যেসব ড্রেন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সেগুলোও মেরামত করা হচ্ছে। পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত নিজে এসব কর্মকান্ড তদারকি করছেন।

হিলির মধ্যবাসুদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা সেলিনা বেগম ও আব্দুল করিম জানান,বর্ষার আগেই সম্প্রতি কয়েকদিন আগে থেকে পৌরসভার পক্ষ থেকে আমাদের বাসার সামনে অলিগলির বিভিন্ন ড্রেনে জমে থাকা ময়লা আবর্জনাগুলো পরিষ্কার করে নিচ্ছেন। ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে পৌরবাসীকে রক্ষা করতে মশক নিধনে নানারকম স্প্রে করছেন পৌরসভাকতৃপক্ষ। একইভাবে ডেঙ্গুর উৎপত্তিস্থল বাসা বাড়িতে বিভিন্ন ফুলেরটব, বোতল, এসির পানিজমে থাকার স্থানসমুহ পরিষ্কারের জন্য নানারকম পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। তেমনি ড্রেনে ময়লা আবর্জনা জমে থাকার কারণে পানি সহজেই নামতে না পারার কারনে যে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতো সেটিও কমে আসবে। সেই সাথে নিয়মিত ড্রেনের এসব ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করার কারনে ড্রেনে ময়লা আবর্জনা জমে যে দুগন্ধের সৃষ্টি হতো সেটিও বর্তমানে আর হয়না। তাদের এই ধরনের কর্মকান্ড যেন অব্যাহত থাকে তাহলে হিলিতে করোনা ভাইরাসের যেমন খুব একটা প্রকোপ দেখা দেয়নি তেমনি ডেঙ্গু থেকেও পৌরবাসী মুক্ত থাকবে।

হিলি বাজারের ব্যবসায়ী রনি হোসেন ও মাহবুব হোসেন জানান,বাজারের ময়লা আবর্জনা নিদ্রিষ্ট স্থানে ফেলার জন্য পৌরসভার পক্ষ থেকে বাজারের বিভিন্ন স্থানে বক্স দেওয়া হয়েছে। আমরা আমাদের দোকানের ময়লা সমুহ নিদ্রিষ্ট সেই বক্সে ফেলি সেখান থেকে পৌরসভার গাড়ি এসে নিয়মিত ময়লা আবর্জনাগুলো নিয়ে যান। এতে করে বাজার ঘাট সবসময় বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে।  

হাকিমপুর (হিলি) পৌরসভার মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রামণ প্রতিরোধে আমাদের নো মাস্ক নো এন্ট্রি কার্যক্রম চালু রয়েছে। মাস্ক ছাড়া কোন ব্যাক্তিকে সেবার জন্য পৌরসভা কার্যালয়ে প্রবেশ ও পৌরএলাকায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছেনা। একমাত্র যাদের মাস্ক রয়েছে তাদেরকেই প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে, একই সাথে অনেককে বিনামূল্য মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে। যার কারনে দিনাজপুর জেলাকে সংক্রামণের দিক থেকে রেডজোনে থাকলেও হিলির অবস্থা বেশ ভালো রয়েছে। 

একই সাথে গতবারের মতো এবারো ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে পৌরবাসীকে মুক্ত রাখতে করোনাকালীন সময়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু না হয়। এজন্য আগে থেকেই পৌরসভার পক্ষ থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে জীবানুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। একইসাথে বিভিন্ন পাড়া মহল্লা ও বাজারগুলোতে থাকা ড্রেনগুলো থেকে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করা হচ্ছে,সেই সাথে মানুষজনকে এবিষয়ে সচেতনও করা হচ্ছে। এছাড়াও পৌরসভার বড় একটি সমস্যা ছিল জলাবদ্ধতা,সামান্য বৃষ্টিতেই ঠিকমতো পানি নিষ্কাশন না হওয়ার কারনে সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতো, মেয়র হিসেবে জয়লাভের পর বেশ কিছু বড় বড় নির্মাণ ও নিয়মিত এসব ড্রেনগুলো পরিষ্কার করার কারণে সেটিও অনেকাংশে কমে যাবে। 
কেআই/