আষাঢ়ে পাট চাষ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৫৮ পিএম, ২২ জুন ২০২০ সোমবার
পাট চাষিরা চাইলে খুব সহজেই পাটের বীজ উৎপাদনের ব্যবস্থা নিতে পারেন। এ উদ্যোগ আষাঢ় মাসেই নেয়া প্রয়োজন। পাট গাছের বয়স যখন ১০০ দিন হবে, তখন গাছের গোড়া থেকে এক থেকে দেড় ফুট ওপরে গাছের ডগা কেটে নিতে হবে।
এসব ডগাকে আবার ৩/৪ টুকরা করে কাটতে হবে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে প্রতি টুকরায় যেন দুটি গিঁট অবশ্যই থাকে। এর পর টুকরোগুলি ভেজা জমিতে দক্ষিণমুখী কাত করে রোপণ করতে হবে। রোপণ করা টুকরোগুলো থেকে ডালপালা বের হয়ে নতুন চারায় পরিণত হবে। পরবর্তীতে এসব চারা থেকেই প্রচুর ফল ধরবে এবং তা থেকে বীজও পাওয়া যাবে।
পাট থেকে আঁশ সংগ্রহ
পাটের চারা রোপনের পর পাট গাছের বয়স যখন চার মাস, তখন পাট গাছ কেটে নিতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে পাট কাটার সাথে সাথেই ছালকরণ করতে হবে, তা না হলে পরবর্তীতে রৌদ্রে পাট গাছ শুকিয়ে গেলে ছালকরণে সমস্যা হবে। পাট গাছ কাটার পর চিকণ ও মোটা পাট গাছ আলাদা করে আঁটি বেঁধে দুই থেকে তিন দিন দাঁড় করিয়ে রাখতে হবে। এতে গাছের পাতা গুলি ঝরে যাবে।
পাট গাছের পাতা ঝরে যাওয়ার পর পাট গাছের আঁটি গুলির গোড়া ৩/৪দিন এক ফুট পানিতে ডুবিয়ে রাখতে হবে। এরপর পাটের আঁটি গুলিকে পরিষ্কার পানিতে জাগ দিতে হবে। জাগ দেয়ার পর, জাগের উপর কচুরিপানা বা খড় বিছিয়ে দিলে ভালো হয়। জাগ দেয়ার পর পাটের আঁশ খুব বেশি পচে না যায়, সেজন্য নিয়মিত ভাবে আঁটি গুলিকে পরীক্ষা করে দেখতে হবে। প্রয়োজন অনুযায়ি পাট পচে গেলে, আঁটি গুলিকে পানিতে আঁটি ভাসিয়ে আঁশ ছাড়ানোর ব্যবস্থা নিতে হবে। পাটের আঁশের গুণাগুণ এতে ভালো থাকবে। আঁটি থেকে আঁশ ছাড়ানো হয়ে গেলে, আঁশ গুলিকে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে বাঁশের আড়ে শুকাতে হবে।
আমাদের দেশে এমনও জায়গা আছে যেসব জায়গায় জাগ দেয়ার পানির অভাব, সেসব জায়গায় রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাট পচাতে পারেন। এতে আঁশের মান ভালো হবে এবং পচনে সময় অনেক কম লাগবে।
এসইউএ/এসি