সব বিপদের উল্টোপিঠেই আল্লাহ কিছু ভালো রেখে দেন
অধ্যাপক ডা. সায়েবা আক্তার
প্রকাশিত : ০২:২৭ পিএম, ২৪ জুন ২০২০ বুধবার | আপডেট: ০৮:২৫ পিএম, ২৪ জুন ২০২০ বুধবার
১.
স্বাভাবিক কর্মমুখর দিনগুলোতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বেশ ব্যস্ততায় কাটে আমার। তাই লকডাউন যখন শুরু হয় তখন আসলে ভয়ের চাইতে হতাশা বেশি কাজ করছিল যে, এতদিন কাজ না করে থাকব কীভাবে! কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ, এই দুই-আড়াই মাসের মধ্যে একদিনও ফুরসত পাইনি সকাল থেকে রাত ১২টা-১টা পর্যন্ত।
সবচেয়ে বেশি ভাবছিলাম আমার রোগীদের নিয়ে-ওদের খুব মিস করব। প্রয়োজনীয় সেবাটা দিতে পারব না। কিন্তু সেই সুযোগও আল্লাহ করে দিয়েছেন টেলিমেডিসিন প্রযুক্তির মাধ্যমে। আমাদের হাসপাতালের (মামস ইনস্টিটিউট অব ফিস্টুলা এন্ড ওমেন্স হেলথ) পক্ষ থেকে আমি ও আমার সহকর্মী চিকিৎসকরা মিলে রোগীদের টেলিমেডিসিন সেবা দিতে শুরু করলাম। এ উদ্যোগটা নিলাম, কারণ এটা তো রোগীদের সেবা দেয়ার একটা সুযোগ। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার পরিচালিত ‘স্বাস্থ্য বাতায়ন’-সহ আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হয়ে আমরা এ কাজটি করছি। প্রয়োজন সাপেক্ষে কোনো কোনো রোগীর সাথে ভিডিও কনসালটেশনও করছি। এ-ছাড়া বিভিন্ন হাসপাতালে আমি এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ইমার্জেন্সি অপারেশনও করেছি।
এই দুর্যোগময় মুহূর্তে আমরা যারা ভালো আছি, তারা অন্যদের দিকে তাকাচ্ছি কিনা সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ বার বার বলেছেন-প্রতিবেশীদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব আছে, গরিব-দুঃখীদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব আছে। পেশাগত কারণেও চিকিৎসক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব অনেক। যে-সকল তরুণ চিকিৎসক করোনা রোগীদের চিকিৎসায় সরাসরি কাজ করছেন, তাদের পাশাপাশি নার্স, হাসপাতালের সকল স্তরের কর্মী এবং পুলিশ ও সেনাবাহিনী-প্রত্যেকেই যে কী আন্তরিকভাবে কাজ করছেন, তা সত্যিই অনুপ্রেরণার বিষয়।
এর মধ্যে কোয়ান্টামের বিভিন্ন সময়োপযোগী উদ্যোগগুলোর কথা জেনেও আমার ভালো লাগছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতদের কাছে তাদের পরিবারের সদস্যরা যখন ভয়ে আসছে না, তখন কোয়ান্টামের স্বেচ্ছাসেবকরা আন্তরিকতার সাথে তাদের দাফন করছেন, সৎকার করছেন। এসব দেখে এই বয়সেও মানুষের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখছি। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম যারা ঝুঁকি নিয়ে এই কাজগুলো করছে, তাদের কাছ থেকে আমাদের বড়দের এ বিষয়গুলো শেখার আছে।
এ-ছাড়াও মার্চের শেষ সপ্তাহে পর্যাপ্ত পিপিই-র অভাবে বিভিন্ন হাসপাতালে যখন চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছিল, তখন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রায় তিন হাজার পিপিই বিতরণ করা হয়। সেসময় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, সরকারি কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স-সহ আরো কিছু হাসপাতালের পরিচালকবৃন্দ ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে এসব পিপিই বিতরণে যে সহযোগিতা করতে পেরেছি, সেটাও আমার জন্যে অত্যন্ত আনন্দের।
২.
এই সময়ে আমাদের হাসপাতালের পুরনো রোগীদের সাথে আমরা যোগাযোগ করেছি। তাদের অধিকাংশই বেশ দরিদ্র এবং এখান থেকে ফিস্টুলা অপারেশন করে গিয়ে বর্তমানে সুস্থ জীবনযাপন করছেন। তারা এখন কে কেমন আছেন, সেসব ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়েছি। যোগাযোগের কাজটি সহজ ও ফলপ্রসূ করতে আমার সহকর্মী চিকিৎসকদের নিয়ে একটি প্রশ্নপত্র তৈরি করলাম এবং জানার চেষ্টা করলাম শারীরিকভাবে, মানসিকভাবে, আর্থিকভাবে তারা কেমন আছেন। এতে বেশ চমকপ্রদ ও কৌতূহলোদ্দীপক নানা তথ্য উঠে এসেছে।
সাতশ-র বেশি রোগীকে ফোন করা হয়েছে। কিন্তু সবাইকে পাওয়া যায় নি। ফোনে আমরা পৌঁছতে পেরেছি প্রায় ৩৫০ জনের কাছে। এর মধ্যে ১৪৯ জন রোগীর কাছ থেকে যেসব তথ্য আমরা সংগ্রহ করেছি সেগুলো বিশ্লেষণ করলাম। দেখলাম, শারীরিকভাবে তারা সুস্থ আছেন কিন্তু মানসিকভাবে কেউ কেউ বেশ বিপর্যস্ত। শতকরা প্রায় ১৮ ভাগ রোগী জানিয়েছেন যে, তাদের মধ্যে আত্মহত্যা প্রবণতা কাজ করছে। কারো ক্ষেত্রে এর কারণ হচ্ছে করোনার ভয়, কারো ক্ষেত্রে না খেয়ে থাকার ভয়। শতকরা ১০ ভাগ রোগী বলেছেন যে, আগে তাদের নিজেদের আয় ছিল কিন্তু এসময় কোনো আয় নেই। কারণ এখন কেউ তাদেরকে বাসা-বাড়িতে কাজে রাখে না।
যাদেরকে আমরা ফোনে পেয়েছি সেই ৩৫০ জনের মধ্যে মাত্র ২৪ জন ত্রাণ পেয়েছেন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে। বাকিরা সাহায্য পেয়েছেন তাদের প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে। আমরা বেশ কষ্ট করে তাদের বিকাশ নম্বর জোগাড় করেছি। তারপর নিজেদের আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে তাদেরকে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। তবে একটি ব্যাপার ভালো লাগছে যে, সমাজের বহু মানুষ এখন অন্যদের সাহায্য করার চেষ্টা করছেন। মানুষের ভেতরে অনেক ভালো কিছু যে সুপ্ত অবস্থায় থাকে, সেটা এখন প্রকাশ পাচ্ছে। মানুষের এই ভালো উদ্যোগগুলো দেখে খুব তৃপ্তি পাই।
বর্তমানে আমার একাডেমিক কাজগুলোও ভার্চুয়ালি চালিয়ে যাচ্ছি। জুনিয়র ডাক্তারদের ক্লাস নিচ্ছি। তারপর আন্তর্জাতিক ফিস্টুলা দিবস ও আন্তর্জাতিক মা দিবসে আমাদের হাসপাতালের পক্ষ থেকে অনলাইন মিটিং করলাম, যেখানে দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা বিশেষজ্ঞ ও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নিয়েছেন।
৩.
আমরা কোরআনে পড়ি-আল্লাহ সর্বশক্তিমান। প্রকৃত অর্থেই আল্লাহ যে কতটা শক্তিধর, সেটা আবারো বুঝলাম সাম্প্রতিক এই সময়ে—সারা বিশ্বকে তিনি স্তব্ধ করে দিলেন। পৃথিবী ও সভ্যতার অগ্রযাত্রার কথা বিবেচনা করে আমরা গ্লোবালাইজেশনের কথা বলি, গ্লোবাল ভিলেজের কথা বলি কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একটা বাড়ি থেকে আরেকটা বাড়িকে আল্লাহ বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছেন! কেউ কারো কাছে যেতে পারছে না। কত বড় পরীক্ষায় তিনি মানুষকে ফেললেন!
আবার পরিস্থিতি যেমনই হোক, এটাও কিন্তু ঠিক যে, এসময় আল্লাহ বিশাল একটা সুযোগ করে দিয়েছেন তাঁর ইবাদত করার, তাঁকে ডাকার। কেউ কেউ এখন কোরআন শিখছেন। আমি নিজেও একটা কোরআনের ক্লাসে যুক্ত হয়েছি। অর্থসহ কোরআন শেখার চেষ্টা করছি। আসলে সব বিপদের উল্টোপিঠেই আল্লাহ কিছু ভালো জিনিস মানুষের জন্যে রেখে দেন—এটা উপলব্ধি করছি বার বার।
যে-কোনো মানুষের জন্যেই শিক্ষার একটা বিশাল সুযোগ এই সময়টা। আমি নিজেও প্রতিদিন নতুন কিছু শিখছি। চিকিৎসাবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকেও করোনা এবং কোভিড-১৯ সম্পর্কে অনেক কিছু পড়তে হচ্ছে, জানতে হচ্ছে। সেসব জেনে অনেক মানুষকে অনুপ্রাণিত করছি। কাজেই যারা এসময় ঘর থেকে কোনোভাবে বের হতে পারছে না, বয়স কিংবা অন্যান্য রোগঝুঁকি বিবেচনায় বাইরে গিয়ে কাজে যোগ দিতে পারছে না, মানুষকে সাহায্য করতে পারছে না, তাদেরও কিন্তু মস্তিষ্ককে অলস রাখা উচিত নয়। মস্তিষ্কেক আরো ব্যবহার করা দরকার। ভালো ভালো জিনিস চর্চা করা দরকার। চিন্তা করা দরকার—কীভাবে আমরা আমাদের শক্তি ও সামর্থ্য দিয়ে মানুষের জন্যে কাজ করতে পারি।
আরেকটি কথা। আমি আগেও সারাদিন কাজ করতাম, কিন্তু এখন মনে হচ্ছে কাজের আউটপুট অন্য সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। কারণ রাস্তায় যানজটে যে সময় চলে যেত আগে, এখন সেটা বেঁচে যাচ্ছে। সেই সময়টা কাজে লাগাতে পারছি। সবকিছু মিলিয়ে মনে হয়, এই যে অনেক মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে মারা যাচ্ছে, তা মনকে ব্যথিত করে তোলে, অনেক সময় নিরাশ লাগে ভারাক্রান্ত লাগে, কিন্তু এটাও তো ঠিক যে, এই বিপদ থেকে অনেক কিছু শেখারও আছে। সেইসাথে বুঝতে পারি, আমাদের ইতিবাচক চিন্তা করতে হবে। সমাজের কল্যাণে কাজ করতে হবে। আমরা নতুনভাবে যেন সবকিছু শুরু করতে পারি, সেই চিন্তাও করতে হবে।
আমি বিশ্বাস করি, করোনার ভ্যাকসিন ও চিকিৎসাপদ্ধতি উদ্ভাবন করার একটা জোর চেষ্টা যে সারা পৃথিবীজুড়ে চলছে, তা করতে গিয়ে বিজ্ঞানীদের মাথায় আরো অনেক নতুন নতুন জিনিস উঁকি দেবে। নিশ্চয়ই তা পরবর্তীতে মানুষের কল্যাণে নানাভাবে কাজে লাগবে।
৪.
এই সময়টাতে আমি আমার পরিবার থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। আমার বাসায় দুজন মেয়ে ছিল; বাসার কাজে আমাকে সাহায্য করত ওরা। ঈদের পর তারাও বাড়ি চলে গেছে। এরপর থেকে বাসায় আমি একা। নতুন একটা মেয়ে এসেছে, সে কোয়ারেন্টিনে আছে। আর ছেলেমেয়েরা সবাই দেশের বাইরে থাকে। আমার বড় মেয়ে ডাক্তার, সে থাকে ইংল্যান্ডে। মেজো মেয়ে ব্যাংকার, ছেলে ব্যারিস্টার। ছোট মেয়ে পড়ালেখা করছে কানাডার ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটিতে। কিছুদিন আগে কানাডায় তার কাছে গেলেন আমার স্বামী (অধ্যাপক ডা. মো: জাহাঙ্গীর কবির, মেডিসিন ও কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ) এবং ওখানেই আটকা পড়লেন। বর্তমান পরিস্থিতির কারণে দেশে ফিরতে পারছেন না।
স্বাভাবিকভাবেই আমি যেমন ওদেরকে নিয়ে উদ্বিগ্ন, তেমনি ওরা আবার চিন্তিত আমাকে নিয়ে। এদিকে এপ্রিলের শুরুর দিকে আমার বড় মেয়ের জামাই বেশ অসুস্থ হয়ে পড়ে। সে ইংল্যান্ডের একটি হাসপাতালে জরুরি বিভাগে কাজ করছিল, ওখান থেকেই করোনাভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়। তার অক্সিজেনের মাত্রা কমতে শুরু করল একসময়। সে হাসপাতালে ফোন করলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাল, তুমি আরেকটু বাসায় থেকে দেখ। হাসপাতালে এলে সংক্রমণের ভয় আরো বেশি। অবস্থা আরো খারাপ হতে পারে।
জামাতা যখন কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠতে শুরু করল, সেসময় আমার মেয়ে এবং তারপর নাতনি অসুস্থ হয়ে পড়ল। সেই একটা মাস যে কী কঠিন সময় কেটেছে প্রতি মুহূর্তে! ওদের অবস্থা বেশ সংকটাপন্ন ছিল তখন। আমার মেয়ে বলছিল যে, জ্বরের সাথে তার প্রচণ্ড মাথাব্যথা আর সমস্ত শরীরে তীব্র ব্যথা। এত অসহায় লাগছিল তখন নিজেকে! আমি মা হয়ে কিছুই করতে পারছি না! ওদের কাছে যাওয়ারও কোনো উপায় নেই। মা হয়ে সন্তানের কষ্টের কথা শুনছি, কিন্তু সব সহ্য করতে হচ্ছে। তার কোনো উপকারে আসতে পারছি না। কী যে একটা মানসিক চাপ, কী যে কষ্ট—এটা কাউকে বলে বোঝানো খুব কঠিন।
এসময় আল্লাহকে অনেক বেশি করে ডেকেছি। কঠিন এ পরিস্থিতিতে একটাই ভালোলাগার ব্যাপার ছিল যে, কায়মনোবাক্যে তাঁকে ডাকার সুযোগ হয়েছে। আল্লাহ আমার এই ডাকে সাড়া দিয়েছেন। মেয়ে, জামাই, নাতনি সবাইকে তিনি সুস্থ করে দিয়েছেন। আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া।
নতুন উপলব্ধি হলো-আমার ভাইবোন, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবরা যে কীভাবে দোয়া করেছে ওদের জন্যে, তা আমার প্রত্যাশার অনেক ঊর্ধ্বে। কী ভাষায় তাদের কৃতজ্ঞতা জানাতে পারি? ধন্যবাদ দেয়ার অবস্থা আমার নেই! আমি পারি শুধু প্রাণভরে তাদের জন্যে দোয়া করতে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকে নতশিরে শত সেজদা।
৫.
আমার বাসার বারান্দায় একটা বাগান আছে। সাধারণ সময়ে তো বাসায় খুব একটা থাকা হয় না। এবার লকডাউনে বাগানটা একটু দেখাশোনার সুযোগ হলো। গাছপালার এত কাছাকাছি যাওয়ার সময় আগে এভাবে পাইনি। বারান্দার দরজায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গাছগুলো দেখতাম-কীভাবে ওরা বাতাসে নড়ে, দুলে ওঠে। নানা রকম গাছে নানা রঙের ফুল দেখেছি, পাখির ডাক শুনেছি। এটাও অনেক ভালোলাগার ব্যাপার ছিল আমার জন্যে।
সবশেষে বলি, করোনা আমাদের শিখিয়েছে অনেক কিছু। ভালবাসা শিখিয়েছে। বিপদে পরকে আপন করে নিতে শিখিয়েছে। মৃত্যু যে ধনী-গরিবে কোনো বৈষম্য করে না-তা-ও শিখিয়েছে দারুণভাবে। হাতেখড়ি হয়েছে ছোটদের কাছে বড়দের। বড়রা উপলব্ধি করেছেন তারুণ্যের উদ্যম, উদ্যোগ, উৎসাহ ও কৌশলের শক্তি। সত্যিই এ এক মিশ্র অভিজ্ঞতা। কিন্তু আমরা কেউই চাই না এমন অভিজ্ঞতার সুযোগ জীবনে আবার কখনো আসুক।
আল্লাহ আমাদের সহায় হোন!
লেখক: চিকিৎসাবিজ্ঞানী ও প্রসব পরবর্তী রক্তক্ষরণ রোধে বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত সায়েবা’স মেথডের উদ্ভাবক, একুশে পদকে ভূষিত
এমবি//