ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১

সড়ক উন্নয়নে ৫০ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:০৫ পিএম, ২৪ জুন ২০২০ বুধবার

বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলে সড়ক ও ডিজিটাল যোগাযোগ উন্নয়নে ৫০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। ওয়াশিংটনে অবস্থিত বিশ্ব ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় এই ঋণ অনুমোদন দিয়েছে। মঙ্গলবার ঋণদাতা সংস্থাটির এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে। 

এর আগে ১৯ জুন করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতির পুনরুদ্ধার ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে বাংলাদেশকে ৮ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার ঘোষণা দেয় বিশ্ব ব্যাংক। তিন প্রকল্পের আওতায় এই ঋণ অনুমোদন করেছে আন্তর্জাতিক ঋণ দাতা সংস্থাটি।

বিশ্বব্যাংক বিবৃতিতে বলেছে, ওয়েস্টার্ন ইকোনমিক করিডোর অ্যান্ড রিজিওনাল এনহেন্সমেন্ট (উইকেয়ার) ফেজ-১’ প্রকল্পে দুই লেনের ১১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ভোমরা-সাতক্ষীরা-নাভারণ এবং যশোর-ঝিনাইদহ সড়ক নির্মাণ করা হবে। বিশেষ করে পশ্চিমাঞ্চলের চারটি জেলাকে সংযুক্ত করতে যশোর-ঝিনাইদহে করিডোর গড়ে তোলা হবে। দেশের পশ্চিমাঞ্চলে ২৬০ কিলোমিটার অর্থনৈতিক করিডোর গড়ে তোলার যে পরিকল্পনা বাংলাদেশ সরকারের রয়েছে, তাতে এই ঋণ সহযোগিতা দেওয়া হবে। এতে ওই অঞ্চলের ২ কোটি মানুষ উপকৃত হবেন।

এ বিষয়ে বিশ্ব ব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলে অনেক ধরনের কৃষি পণ্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রবেশপথ হিসেবেও এ অঞ্চলের ব্যাপক সম্ভাবনা। পশ্চিমাঞ্চলকে রাজধানীর সঙ্গে যুক্ত করে, কৃষিপণ্যকে বাজারে যুক্ত করার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে সংযোগ তৈরির মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য, যাতায়াত ও অন্যান্য সহযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এই প্রকল্প।

সংস্থাটি আরও বলেছে, এ প্রকল্পের আওতায় ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপান্তরে ফাইবার অপটিক ক্যাবল স্থাপন করা হবে। যাতে নির্ভরযোগ্য ও সহজে ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যায়। যা করোনার মতো মহামারিতেও ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা ও অন্যান্য জরুরি সেবা দিতে সক্ষম হবে। 

বিশ্ব ব্যাংকের ট্র্যান্সপোর্ট স্পেশালিস্ট ও প্রজেক্ট টাস্ক টিম লিডার রাজেশ রোহাতগি বলেন, করোনার কারণে চাকরি ও আয় হারানোয় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে দরিদ্র মানুষ। এই দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে এ প্রকল্প জরুরি ভিত্তিতে সামাজিক নিরাপত্তায় এবং গ্রামীণ পর্যায়ের অরক্ষিত মানুষের জীবিকা নির্বাহের জন্য কাজের ব্যবস্থা করবে। এমনকি করোনা পরবর্তী সময়ে গ্রামীণ সড়ক ও বাজার নির্মাণ এবং মহাসড়ক নির্মাণের মাধ্যমে গ্রামীণ মানুষের কাজের সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হবে।’

আরকে//