ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

আষাঢ়ে শাকসবজির যত্ন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫০ পিএম, ২৪ জুন ২০২০ বুধবার

এ সময়ে উৎপাদিত শাকসবজির মধ্যে রয়েছে পুঁইশাক, চিচিঙ্গা, ডাঁটা, গিমাকলমি, ধুন্দুল, ঝিঙা, শসা, ঢেঁড়স, বেগুন। আষাঢ়ে এসব সবজির গোড়ায় জন্মানো আগাছা ভালো ভাবে এবং যত্ন সহকারে পরিষ্কার করতে হবে এবং প্রয়োজনে অল্প পরিমানে মাটি ও তুলে দিতে হবে। কোন ভাবেই সবজি ক্ষেতে পানি জমতে দেয়া যাবে না। পানি জমে গেলে দ্রুত পানি সরানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

আর মনে রাখতে হবে লতানো সবজির দৈহিক বৃদ্ধি যত বেশি হবে তার ফুল ফল ধারণক্ষমতা তত কমে যাবে। সেজন্য বেশি বৃদ্ধি পাওয়া লতার/গাছের ১৫-২০ শতাংশের পাতা লতা কেটে দিলে তাড়াতাড়ি ফুল ও ফল ধরবে। অধিক ফলন পেতে হলে কুমড়া জাতীয় সব সবজিতে হাত পরাগায়ন বা কৃত্রিম পরাগায়ন করতে হবে। গাছে যখনই ফুল ধরা শুরু করবে তখন প্রতিদিন ভোরবেলা হাতপরাগায়ন নিশ্চিত করলে ফলন অনেক বেড়ে যাবে।

এ্ই মাসে কিছু কিছু গাছের জন্য মাদা তৈরি করতে হবে। যেমন আগাম জাতের শিম এবং লাউয়ের জন্য প্রায় ৩ ফুট দূরে দূরে ১ ফুট চওড়া ও ১ ফুট গভীর করে মাদা তৈরি করতে হবে। মাদা তৈরির সময় গর্তপ্রতি ১০ কেজি গোবর, ২০০ গ্রাম সরিষার খৈল, ২ কেজি ছাই, ১০০ গ্রাম টিএসপি ভালোভাবে মাদার মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। এরপর প্রতি গাদায় ৩/৪টি ভালো সবল বীজ রোপণ করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে বর্ষায় পানি যেন মাদার কোন ক্ষতি করতে না পারে।  সম্ভব হলে মাদার উপরে মাঁচার ব্যবস্থা করতে হবে। সূত্র-কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস)

এসইউএ/এসি