করোনার ওষুধ বিতর্কে রামদেব
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৫৮ এএম, ২৫ জুন ২০২০ বৃহস্পতিবার
ভারতের যোগগুরু রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ করোনার ‘ওষুধ’ বাজারে আনার কথা ঘোষণা করতেই নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। পতঞ্জলির ‘করোনিল’ ও ‘শ্বাসরি’ নামের ওষুধ দুটি করোনা সারাতে একশ’ ভাগ সফল বলে দাবি করেন রামদেব। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই উত্তরখণ্ড সরকারের আয়ুর্বেদ বিভাগ আজ জানিয়েছে, করোনা চিকিৎসার ওষুধ তৈরির কোনও লাইসেন্সই নেয়নি সংস্থাটির।
ভারত সরকারের কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী শ্রীপদ নায়েক জানান, ‘ওষুধের বিষয়টি নিয়ে তার মন্ত্রকের কাছে রিপোর্ট পাঠিয়েছে পতঞ্জলি। এটি খতিয়ে দেখার পরেই ছাড়পত্র দেওয়ার প্রশ্ন আসবে।’
করোনার ওষুধ নিয়ে রামদেব সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছেন উত্তরখণ্ড সরকারের পক্ষ থেকে। রাজ্যের আয়ুর্বেদ বিভাগের লাইসেন্স কর্মকর্তা ওয়াই এস রাওয়াত জানিয়েছেন, ‘করোনা কিট’ বাজারে আনার ছাড়পত্র পতঞ্জলি কোথা থেকে পেল? তা জানতে সংস্থাটির কাছে নোটিশ পাঠানো হবে। তিনি বলেন, “পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ লিমিটেড কাশি ও জ্বরের বিরুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার ওষুধ তৈরির অনুমতি পেয়েছে। এর সঙ্গে করোনা চিকিৎসার কোন যোগ নেই।’’
তিনি আরও জানান, পতঞ্জলি তাদের ওষুধের ছাড়পত্রের জন্য যে আবেদনপত্র দাখিল করেছিল, তাতে করোনাভাইরাসের চিকিৎসার প্রসঙ্গ উল্লেখ নেই। ফলে ‘করোনা কিট’ কী ভাবে বাজারে আনতে চাইছে তারা, সে কথাই সংস্থাটির কাছে জানতে চাওয়া হবে।
তবে আয়ুষ মন্ত্রণালয়ের একটি চিঠিকে সামনে রেখে যোগগুরু রামদেবের মন্তব্য, ‘‘আয়ুর্বেদের বিরোধিতা কিংবা একে ঘৃণা করেন যারা, এটা তাদের নিরাশ করে দেওয়ার মতো খবর...।’’ পতঞ্জলি সংস্থার দাবি, তাদের ওষুধের বিষয়টি মন্ত্রণালয় খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছে।
এরই মধ্যে পতঞ্জলির দাবি নিয়ে রামদেব ও ওই সংস্থার এমডি আচার্য বালকৃষ্ণের বিরুদ্ধে বিহারের একটি আদালতে মামলা হয়েছে। মামলাকারীর অভিযোগ, করোনার ওষুধ বাজারে আনার কথা বলে মানুষকে ভুল পথে চালিত করেছেন রামদেব।
এই টানাপড়েনে ‘অ্যাডভার্টাইজিং স্ট্যান্ডার্ডস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া’ আজ জানিয়েছে, এপ্রিল মাসেই করোনা সারানোর দাবি নিয়ে আয়ুর্বেদ ও হোমিওপ্যাথ ওষুধের অন্তত ৫০টি বিজ্ঞাপন তাদের নজরে এসেছে। এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তারা।
সূত্র: আনন্দবাজার
এএইচ/