ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

ভারতে বজ্রপাতে শতাধিক লোকের মৃত্যু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:২৭ এএম, ২৬ জুন ২০২০ শুক্রবার

ভারতে গত দুইদিনে বজ্রপাতের আঘাতে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির বিহার ও উত্তরপ্রদেশে এই ঘটনা ঘটে। বজ্রপাতে একসঙ্গে এত লোকের মারা যাবার ঘটনা বিরল বলে উল্লেখ করেন বিশেষজ্ঞরা।

বিবিসি জানায়, ভারতের রাজ্য দুইটিতে ভারী বর্ষণের ফলে বজ্রপাতে মোট ১০৭ জনের মৃত্যু ঘটে। এর মধ্যে বিহার রাজ্যের ২৩ জেলায় মারা গেছেন ৮৩ জন।। এই রাজ্যের গোপালগঞ্জ জেলায় সবচেয়ে বেশি ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বজ্রপাতে মধুবনী ও নবাদা জেলায় ৮ জন করে, ভাগলপুর ও সিওয়ানে ৬ জন করে এবং বাঙ্কা, দ্বারভাঙা ও পূর্ব চম্পারণ জেলায় পাঁচ জন করে মারা যান।

জানা যায়, মৃতদের মধ্যে বেশির ভাগই কৃষি মাঠে কাজ করছিলেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তুমুল বর্ষণের মুখে বিহার ছাড়া উত্তরপ্রদেশেও বজ্র্যপাতে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। সেখানে মারা গেছেন ২৪ জন।  রাজ্যটির দেওরিয়া জেলায় সব থেকে বেশি মোট ৯ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছেন সেখানকার বিবিসি সংবাদদাতা।

বর্ষা মৌসুমে দেশটিতে বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে থাকে। তবে এবারই প্রথম যে, বজ্রপাতে একসঙ্গে শতাধিক লোকের মৃত্যু হল। প্রাণহানি হওয়া ছাড়াও গাছপালা ও ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বজ্রপাতে। 

কর্তৃপক্ষ স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করে দিয়েছে যে, আবহাওয়া আরও খারাপের দিকে, এই পরিস্থিতিতে বজ্রপাত থেকে বাঁচতে যাতে ঘরের ভেতরে অবস্থান নেয়।

এদিকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বজ্রপাতে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ত্রাণ, ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসনে কেন্দ্রীয় সরকার কাজ করছে বলে জানান তিনি।

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার নিহত প্রত্যেকের পরিবারের জন্য ৪ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়েছেন। এদিকে মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

গত বছর এই বিহারেই বজ্রপাতে একদিনে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তার মধ্যে সবথেকে বেশি মারা গিয়েছিলেন ঔরঙ্গাবাদে। ওই বছরই কয়েক দিন আগে-পরে বিহারে বজ্রাপাতে ১০ শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। তবে ২০১৬ সালের জুন মাসের কোন একদিনে ৫৭ জন মারা যায় এই বজ্রপাতে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বজ্রপাতে আগের চেয়ে বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। বজ্রপাতে মানুষ মারা যাবার সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনি বজ্রপাতের প্রবণতাও বেড়েছে।

এএইচ/