ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রামিং শেখার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে: পলক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:২৫ পিএম, ২৭ জুন ২০২০ শনিবার

তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সমস্যাকে সম্ভাবনায় রূপান্তর করতে চিন্তাশীল মানসিকতা সম্পন্ন প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে। তিনি প্রোগ্রামিং বিশ্ব পরিবর্তনের হাতিয়ার উল্লেখ করে বলেন ইংরেজি, অংকসহ সাধরণ শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ছোটবেলা থেকেই প্রোগ্রামিং শিখার উপর গুরুত্ব দিতে হবে।

শনিবার (২৭ জুন) জুম অনলাইনে আইসিটি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) উদ্যোগে আয়োজিত "হাই স্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা -২০২০ "এর সমাপনী ও বিজয়ীদের নাম ঘোষণা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। 

বিসিসির নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেবের সভাপতিত্বে অনলাইন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স এন্ড মেকাট্রনিক্স বিভাগের অধ্যাপক লাফিফা জামাল।  

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১১ বছরে ডিজিটাল অবকাঠামো গড়ে তোলার কারণেই করোনা মহামারীর মধ্যেও ঘরে বন্দি সাড়ে ৪ কোটি শিক্ষার্থী অনলাইনে ক্লাস করতে পারছে এবং অনলাইনে হাই স্কুল প্রোগ্রামিং কনটেস্ট প্রতিযোগিতা আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে। আত্মনির্ভরশীল ও প্রযুক্তিনির্ভর জাতি গঠনে প্রোগ্রামিং এর ভূমিকা অনস্বীকার্য বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, চিন্তাশীল সমস্যা সমাধানে ছোটবেলা থেকেই শিশু-কিশোরদের প্রোগ্রামিং শিখাতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বয়ংক্রিয় ডিজিটাল যুগের দিকে এগোতে হলে প্রয়োজন আমাদের প্রোগ্রামারদের যোগ্য করে গড়ে তোলা।আগামী দিনের চাহিদা মেটানোর জন্য, আগামী প্রজন্মের সদস্যদের আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলার জন্য এবং মেধা ও জ্ঞান ভিত্তিক প্রজন্ম গড়ে তুলতে প্রোগ্রামিং শিক্ষায় ছেলেমেয়েদের উৎসাহ দেয়ার কথাও বলেন তিনি। সাড়ে চার কোটি শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে এখন অনলাইনে ক্লাস করার সুযোগ পাচ্ছেন, অনলাইন প্রোগ্রামিং কন্টেস্টে অংশ নিচ্ছেন- এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিশ্ব পরিবর্তনের হাতিয়ার হিসেবে প্রোগ্রামিংকে গুরুত্বের সাথে নেয়ার কথাও বলেন তিনি। সামনে এগিয়ে যাওয়ার স্পৃহা থেকে আমাদের ছেলেমেয়েরা প্রোগ্রামিং শিক্ষায় দক্ষ হয়ে উঠবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আমাদের চারপাশে যত সমস্যা আছে তার প্রযুক্তি নির্ভর সমাধানের মানসিকতা নিয়ে গড়ে উঠবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। 


উল্লেখ্য, অনলাইনে এনএইচএসপিসি২০২০ এর রেজিস্ট্রেশনের ঘোষণার মাত্র তিন দিনেই এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আবেদন করে ৫ হাজার ৪৭৭ শিক্ষার্থী। দেশের সব জেলা থেকেই শিক্ষার্থীরা এই আয়োজনের কুইজ ও প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।এ আয়োজনে শিক্ষার্থীরা জুনিয়র ক্যাটাগরি (ষষ্ঠ-নবম শ্রেণি) এবং সিনিয়র ক্যাটাগরি (দশম-এসএসসি-দ্বাদশ শ্রেণি ও পলিটেকনিক প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী), এই দুইটি ক্যাটাগরিতে কুইজ অথবা প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এছাড়া একই সময়ে আইসিটিতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজন করা হয় আইসিটি কুইজ প্রতিযোগিতা।  

পরে প্রতিযোগিতায় গ্রুপ ভিত্তিক বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার জুনিয়র ক্যাটাগরীতে বিজয়ী হয়েছেন যথাক্রমে নুফিক চৌধুরী (হবিগঞ্জ সরকারী হাই স্কুল, সিলেট), দেবজ্যোতি দাস সৌম্য (জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, সিলেট ), যারিফ রহমান (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল, রাজশাহী ), আরিয়ান আহমেদ (ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ড স্কুল, ঢাকা ), ওয়াসিফ জামিল সিদ্দিকী ( হবিগঞ্জ সরকারী হাই স্কুল, সিলেট), আহসান হারিছ আহমেদ ( পাবনা জিলা স্কুল, রাজশাহী ), জিতেন্দ্র বড়ুয়া (ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ , চট্টগ্রাম), আসনাফ মুহতাদী ( দিনাজপুর জিলা স্কুল,রংপুর), মোহাম্মাদ আবু সাদিক ( বরিশাল জিলা স্কুল, বরিশাল), মহতাসিম মনোয়ার ( কুমিল্লা জিলা স্কুল চট্টগ্রাম)। এবং মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তাজরিয়ান তাহলিল (ডঃ খাস্তগীর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম)। 

এবং প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার সিনিয়র ক্যাটাগরীতে বিজয়ী হয়েছেন যথাক্রমে রেজওয়ান আরেফিন ( ঢাকা কলেজ, ঢাকা), আরমান ফেরদৌস ( নটরডেম কলেজ, ঢাকা ), তাসমীম রেজা ( নটরডেম কলেজ, ঢাকা ), মামনুন সিয়াম ( চট্টগ্রাম কলেজ, চট্টগ্রাম), দাইয়ান নুরী দাহী (এম সি কলেজ, সিলেট), সাফিন আলম (ঢাকা সিটি কলেজ, ঢাকা ), সাফিন আহমেদ (রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা), আহমেদ নাসের তাহসিন চৌধুরী (স্কলারসশম, সিলেট ), আল আমিন তুষার (একাডেমিয়া , ঢাকা ), আরশাদ আয়মান (রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা)। এবং মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নাজিয়া জান্নাতী (খুলনা সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, খুলনা)। 

অপরদিকে কুইজ প্রতিযোগিতার জুনিয়র ক্যাটাগরীতে বিজয়ী হয়েছেন যথাক্রমে তাসনিম তমাল (ব্রাহ্মণগাঁ হাই স্কুল), মোঃ মেহেরাব হোসেন (সেরোয়েল সরকার উচ্চ বিদ্যালয়), মোসাম্মৎ আমেনা আকতার (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ), আরিফ উদ্দিন আহমেদ (ঢাকা সিটি কলেজ), সামিয়া রহমান (পটিয়া সরকারি কলেজ), সাজিদ মোশাররফ (কাফকো স্কুল অ্যান্ড কলেজ), রাতুল পাল (সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজ), দুর্গা প্রশাদ সরকার সুদিপ (সরকাারি বিএম কলেজ, বরিশাল), প্রিতম দাস (নটরডেম কলেজ), মোঃ আবির হোসেন (নটরডেম কলেজ)।     

এবং কুইজ প্রতিযোগিতার সিনিয়র ক্যাটাগরীতে বিজয়ী হয়েছেন যথাক্রমে মোঃ গাজিউর রহমান নূর (বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, সিলেট ), জান্নাত জামিমা (হাউসিং সেটেলমেন্ট পাবলিক স্কুল ),  নাাজিফা বিনতে হাসান (বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল টিউটোরিয়াল লিমিটেড), অর্ণব সুর (নোয়াখালি জিলা স্কুল), মাজেদুল কবির বাইতুল (অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়), মোঃ মোজতাবির মাহফুজ রাহাত (হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়), তানভির ইয়াসির (রংপুর জিলা স্কুল)।

এসি