ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ভারতে আবারও সর্বোচ্চ আক্রান্ত, মৃত্যু ১৬ হাজার  

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫৩ এএম, ২৮ জুন ২০২০ রবিবার

প্রতিদিনের রেকর্ড সংক্রমণ ও শতশত প্রাণহানিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত। চলমান অবস্থা অব্যাহত থাকলে দেশটিতে করোনা মহামারি রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যে সেখানে ভাইরাসটির শিকার সোয়া ৫ লাখ মানুষ। প্রাণ গেছে ১৬ হাজারের বেশি ভারতীয়র। 

দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২০ হাজার ১৩১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। একদিনের নিরিখে এখন পর্যন্ত যা সর্বাধিক। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ২৯ হাজার ৫৭৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ৬০ শতাংশই তিন রাজ্যের (মহারাষ্ট্র, দিল্লি ও তামিলনাড়ু)। 

একইসময়ে প্রাণহানি ঘটেছে ৪১৪ জনের। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১৬ হাজার ১০৩ জনের মৃত্যু হল করোনায়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮০ লাখের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যাতে শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ। 

প্রাণহানির শীর্ষে বরাবরই মহারাষ্ট্র। দিল্লিতেও প্রতিনিয়ত বাড়ছে সংক্রমণ। পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে করোনা ছড়িয়ে পড়া ৯টি প্রদেশে। এর মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থা গুজরাট, বিহার, উত্তর প্রদেশ, অন্ধ্র প্রদেশ, কর্নাটক, কেরালা ও হরিয়ানায়।  

এর আগে ভারতের সংক্রমণ এক থেকে দুই লাখ হতে ১৫ দিন, দুই থেকে তিন ১০ দিন। তিন থেকে চার ৮ দিন। আর সবশেষ চার থেকে পাঁচ লাখে পৌঁছতে লাগে মাত্র ছয়দিন। এভাবেই করোনা দাপট দেখাচ্ছে দেশটিতে। এমন অবস্থায় আগামী ১২ আগস্ট পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল। 

সংক্রমণ ঠেকাতে প্রথমদিকে সামাজিক দূরত্বের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন লকডাউনের কড়াকড়ি নেই। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ায় বাজার-হাট, গণপরিবহনে বেড়েছে লোকের ভিড়। বেড়েছে একে অপরের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনাও। তাই, প্রতিদিনই আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। এই হারে যদি বাড়তে থাকে তাহলে ছয় লাখে পৌঁছতে আরও কম সময় লাগবে।

তবে, আশার কথা হলো ভারতে আক্রান্তের অর্ধেকেরও বেশি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। যা ইতিমধ্যেই তিন লাখ ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায়ও ১৪ হাজার ২৬৫ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ৩ লাখ ১০ হাজার ৩৫২ জন ভুক্তভোগী।

এআই//