গরিবের লিচু ‘পিছফল’
দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৩:২৮ পিএম, ২৯ জুন ২০২০ সোমবার
খেতে রসালো, পছন্দ সব বয়সের মানুষের। স্বল্প দামের ফলটি খেতে অনেকটা লিচুর মতো। তাই, নিম্নবিত্তদের কাছে নতুন এই ফল ‘গরিবের লিচু’ নামে পরিচিত। আর রাজধানী ঢাকার দোহার-নবাবগঞ্জে পরিচিতি পেয়েছে পিছফল নামে।
নতুন সুস্বাদু পিছফলে নবাবগঞ্জের প্রায় এলাকায় এখন সয়লাব। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার গাছে ফলন ভালো হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
মানুষের পাশাপাশি ফলটি বিভিন্ন প্রাণীরা খেতে পছন্দ করে। বিশেষ করে বাদুরের কারণে ফলটি গাছে রাখা যায় না। পিছফল পরিপক্ক হওয়ার আগেই গাছে থাকাবস্থায় বাদুর সব খেয়ে শেষ করে ফেলে। বাদুরসহ অন্যান্য প্রাণীদের হাত থেকে ফলটি রক্ষায় বড় হতে শুরু করলেই মশারী দিয়ে পুরো গাছ ঢেকে ফেলা হয়।
কয়েকজন ফল ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানা যায়, লিচুর পাশাপাশি মানুষের পছন্দ এই পিছফল। এখনও বাজারে কিছু পাওয়া গেলেও তা পরিপক্ক নয়। পর্যাপ্ত পেতে সময়ে লাগবে আরও কিছুদিন। নিম্নবিত্তরাই এ ফলের সবচেয়ে বড় গ্রাহক।
অপরদিকে, দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় লিচুর বদলে তারা সন্তানদের পিছফল কিনে খাওয়ারন। অনেকেই জানান, ‘আমরা অগ্রিম টাকা দিয়ে পিছফল গাছের সব ফল কিনে নিই। এখন প্রতিটি গাছই পিছফলে পরিপূর্ণ। কিন্তু বাদুরের কারণে গাছ ফল থাকে না। তাই বাধ্য হয়ে মশারী লাগিয়েছি। এছাড়া রাতে পাহারা দিতে হয়।’
বান্দুরার মৌসুমী ফল ব্যবসায়ী বাদল বেপারী বলেন, ‘আমি সারা বছর চা বিক্রি করি। কিন্ত পিছফলের চাহিদা থাকায় চা বিক্রির পাশাপাশি এই সময় পিছফল বিক্রি করি। গাছে ফল আসার সাথে সাথে মালিকের কাছ থেকে আমরা ফলগুলো কিনে নিই। পরে পরিপক্ক হলে তা বাজারে বিক্রি করি। বাদুর ফল খেয়ে ফেলায় অনেক সময় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। তবে এটি একটি লাভজনক ব্যবসা।’
এআই//