ঢাকা, শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৭ ১৪৩১

শিশু মাস্ক পরতে না চাইলে কী করবেন?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৫৪ পিএম, ২৯ জুন ২০২০ সোমবার | আপডেট: ০৬:০১ পিএম, ২৯ জুন ২০২০ সোমবার

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছোট-বড় সবার ক্ষেত্রেই ঘটছে। তাই ভাইরাস থেকে বাঁচতে এর বিধি নিষেধ সবাইকে মেনে চলতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যতদিন পর্যন্ত করোনার টিকা আবিষ্কার না হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত করোনা মোকাবেলার নিয়মকানুন কঠোরভাবে মানতে হবে। সেক্ষেত্রে বড়দের পাশাপাশি ছোটদেরকেও নতুন নিয়ম আয়ত্ত করতে শিখতে হবে।

ডাব্লিউএইচও থেকে বলা হয়েছে, বারবার হাত ধোয়া, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, বাইরে বের হওয়ার সময় মাস্ক ব্যবহার এবং সামাজিক দূরত্ব মানতে হবে। বড়দের মতো এই স্বাস্থ্যবিধি ছোটদেরকেও শেখাতে হবে।

তবে অনেক শিশুই মাস্ক পরতে চায় না। বিশেষ করে দীর্ঘসময় এটা ব্যবহার করা তাদের জন্য খুবই কষ্টকর। এই সময় শিশুদের মাস্ক পরতে অভ্যস্ত করতে কিছু বিষয় অনুসরণ করা যায়। যেমন-

শিশুদের মাস্কের প্রয়োজনীয়তা বোঝান
মাস্ক পরা এই সময় কেন গুরুত্বপূর্ণ সেটা শিশুদের কাছে সহজভাবে তুলে ধরুন। হাত ধোয়ার মতো মাস্ক পরলেও জীবাণু থেকে দূরে থাকা যাবে এ বিষয়টি বুঝিয়ে বলুন।

মাস্ক পরার অনুশীলন
শিশুরা যদি বাড়িতে বড়দের মাস্কের ব্যবহার দেখে তাহলে তারাও সেটা পরতে চাইবে। তাই আপনি যখন পরবেন তখন শিশুর হাতে একটি মাস্ক ধরিয়ে দিন। এতে মাস্ক সম্পর্কে তাদের ভয় দূর হবে। এছাড়া ছোটদের মাস্ক পরা কোন ছবি দেখাতে পারেন, অথবা এ জাতীয় কোন ভিডিও দেখাতে পারেন শিশুদেরকে। তাতে তার ভয় কেটে যাবে। মাস্ক পরতে উৎসাহ পাবে।

শিশুদের কিছুটা সময় দিন
মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে শিশুদেরকে সময় দিন। জোর করবেন না। খেলনা দিয়ে খেলছে, টিভি দেখছে কিংবা ভিডিও কলে বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছে এই সময় তাদেরকে মাস্ক পরিয়ে দিতে পারেন। এতে করে তার মাস্কভীতি দূর হবে।

রঙিন মাস্ক দিয়ে উৎসাহিত করুন
শিশুরা রঙিন জিনিসে আকর্ষণ অনুভব করে। তাই শিশুদের জন্য রঙিন মাস্ক কিনে দিন অথবা তাদের পছন্দ মতো মাস্ক অনলাইনে অর্ডার করতে পারেন। বিভিন্ন রঙ ও বিভিন্ন ধরনের মাস্ক থাকলে পড়তে উৎসহ পাবে তারা।

আরামদায়ক হবে এমন মাস্ক দিন
শিশু যে মাস্কটি ব্যবহার করছে তা আরামদায়ক কিনা সেটা আগে জানুন। কোন রকম অসুবিধা হচ্ছে কিনা তা জানতে চান। অসুবিধা বোধ করলে মাস্কটি তার উপযোগী করে সেট করে দিন। 

করোনাভাইরাসের নির্ভরযোগ্য ভ্যাকসিন আসলে এ রোগটি যে নির্মূল হবে তার কোন গ্যারান্টি নেই। এটি সময় ধরে থেকেও যেতে পারে। তাই শিশুদের হাত ধোয়া, সামাজিক দূরত্ব এবং মাস্ক পরা- এই নতুন বিষয়গুলো সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। 

তবে শিশুদের মাস্ক পরার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলেছেন চিকিৎসকরা। বিশেষ করে দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া

এএইচ/এসি