ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ২১ ১৪৩১

করোনার ছয় মাস পূর্ণ : বিশ্বের ৫ লাখ ৭ হাজার মানুষের মৃত্যু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:২৬ এএম, ৩০ জুন ২০২০ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৯:৫৬ এএম, ৩০ জুন ২০২০ মঙ্গলবার

বৈশ্বিক মহামারি করোনার ছয় মাস পূর্ণ হলো আজ। এরই মধ্যে বিশ্বের ৫ লাখ সাড়ে ৭ হাজারের বেশি মানুষ ভাইরাসটিতে প্রাণ হারিয়েছে। অথচ এখনও অধরা কার্যকরি প্রতিষেধক। আর ভুক্তভোগী ১ কোটি ৪ লাখের বেশি মানুষ। যদিও সাড়ে ৫৬ লাখের বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন। 

এর মধ্যে একমাত্র ইউরোপের কয়েকটি দেশ ও উৎপত্তিস্থল চীনে নিয়ন্ত্রণে এসেছে ভাইরাসটি। তবে দেশগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরলেও মুক্ত হচ্ছে না পুরোপুরি। এখনও প্রতিদিনই কমবেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। 

আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সকাল পর্যন্ত বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের তালিকায় যুক্ত হয়েছে বিশ্বের ১ লাখ ৬০ হাজার ৯৮৫ জন মানুষ। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ১ কোটি ৪ লাখ ২ হাজার ৯০৬ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রাণ গেছে আরও ৩ হাজার ৪১৫ জনের। এ নিয়ে বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা ৫ লাখ ৭ হাজার ৫২৮ জনে ঠেকেছে। 

এর মধ্যে শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই আক্রান্তের সংখ্যা ২৬ লাখ ৮১ হাজার ৮১১ জনে দাঁড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ২৮ হাজার ৭৮৩ জনের। 

ব্রাজিলে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ১৩ লাখ ৭০ হাজার ৪৮৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে প্রাণহানি  ৫৮ হাজার ৩৮৫ জনে ঠেকেছে। 

আক্রান্তের তালিকায় তিনে থাকা রাশিয়ায় সংক্রমিতের সংখ্যা ৬ লাখ ৪১ হাজার অতিক্রম করেছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ হাজার ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। 

দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে সংক্রমণ সাড়ে ৫ লাখ ছাড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত সেখানে ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৬ জন মানুষ করোনার শিকার হয়েছেন। প্রাণহানি ঘটেছে ১৬ হাজার ৯০৪ জনের। 

যুক্তরাজ্যে সংক্রমণ ৩ লাখ প্রায় ১২ হাজার। মৃতের সংখ্যা ৪৩ হাজার ৫৭৫ জনে দাঁড়িয়েছে। 

এদিকে, নিয়ন্ত্রণে আসা স্পেনে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। এতে করে প্রাণহানি বেড়ে ২৮ হাজার ৩৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আক্রান্ত ২ লাখ ৯৬ হাজার ৫০ জন মানুষ। 

সংক্রমণ ২ লাখ ৮২ হাজারের বেশি লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুতে। মৃত্যু হয়েছে সেখানে ৯ হাজার ৫০৪ জনের।

চিলিতে সংক্রমণ পৌনে ৩ লাখ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে প্রাণ গেছে ৫ হাজার ৫৭৫ জনের।  

ইউরোপে প্রথম আঘাত হানা ইতালিতে ২ লাখ ৪০ হাজার ৪৩৬ জন মানুষ করোনার শিকার। এর মধ্যে পৃথিবী ছেড়েছেন ৩৪ হাজার ৭৪৪ জন মানুষ। 

মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামি প্রজাতান্ত্রিক দেশ ইরানে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ২৫ হাজারের বেশি। প্রাণহানি ঘটেছে ১০ হাজার ৬৭০ জনের। 

লাতিন আমেরিকার দেশ মেক্সিকোয় প্রতিদিনই আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের ঘটনা। ইতিমধ্যেই সেখানে সংক্রমণ ২ লাখ ২১ হাজার ছুঁই ছুঁই। প্রাণ গেছে ২৭ হাজারের বেশি মানুষের।  

দক্ষিণ এশিয়ার আরেক ভুক্তভোগী পাকিস্তানে আক্রান্ত দুই লাখ ছাড়িয়েছে একদিন আগে। এখন পর্যন্ত সেখানে করোনার শিকার ২ লাখ ৬ হাজার ৫১২ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ১৬৭ জনের। 

আর বাংলাদেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যমতে, গতকাল সোমবার পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৪১ হাজার ৮০১ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ১ হাজার ৭৮৩ জনের। আর সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ৫৭ হাজার ৭৮০ জন মানুষ। 

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে প্রথম করোনার প্রকোপ দেখা দেয়। যা একে একে বিশ্বের দুইশ’র বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে অবস্থা চরম সংকটে পৌঁছলে গত ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করা হয়। যার সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলো। যা এখন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। 
এআই/এসএ/