ফ্যাটি লিভারের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনার সহজ ২ উপায়
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৪২ এএম, ৩০ জুন ২০২০ মঙ্গলবার
ফ্যাটি লিভার মানেই চর্বিযুক্ত যকৃৎ, এ কথা আমরা প্রায় সকলেই জানি। ফ্যাটি লিভারের প্রাথমিক লক্ষণগুলো আলাদা করে চেনা খুব মুশকিল। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অন্য কোনও সমস্যার জন্য আলট্রাসনোগ্রাম করাতে গিয়ে এই সমস্যা ধরা পড়ে। চিকিত্সকদের মতে, লিভারে একটা নির্দিষ্ট মাত্রায় চর্বি থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু সেই নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে ৫ থেকে ১০ শতাংশ বেশি হলেই তা ফ্যাটি লিভার বলে বিবেচিত হয়।
ফ্যাটি লিভারের রোগীরাও করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছেন। ফ্যাটি লিভার একটি বিপাকজনিত সমস্যা। যকৃতের এই সমস্যায় ইনসুলিন রেজিসট্যান্স, ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ ইত্যাদির ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। কাজেই এই রোগটি সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।
ফ্যাটি লিভার দুই প্রকার। এক, অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ। আর দুই, নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ। মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে যকৃৎ বা লিভারে যে ফ্যাট জমা হয়, তাকে ‘অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ’ বলা হয়। অন্যদিকে খাদ্যাভ্যাস বা জীবনযাত্রায় মাত্রাতিরিক্ত অনিয়মের ফলে লিভারে যে ফ্যাট জমা হয়, তাকে ‘নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ’ বলা হয়।
‘নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ’ কোনও রকম ওষুধ না খেয়েও সারিয়ে তোলা সম্ভব। আর তার জন্য খাদ্যাভ্যাস বা জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা জরুরি। এবার জেনে নেওয়া যাক, প্রাকৃতিক উপায়ে নন-অ্যালকহলিক ফ্যাটি লিভারের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনার সহজ প্রাকৃতিক উপায়...
প্রথমত, ফ্যাটি লিভারের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে সহজ উপায় হলো সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস লেবু আর মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন। লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যা লিভারে এক ধরনের এনজাইম তৈরি করে চর্বি গলাতে সাহায্য করে। মাস খানেক নিয়ম মেনে লেবু আর মধুর মিশ্রণ খেয়ে দেখুন। উপকার পাবেন।
দ্বিতীয়ত, অ্যাপল সাইডার ভিনেগার ফ্যাটি লিভারের ক্ষেত্রে সেরা প্রতিকারক। এই অ্যাপল সাইডার ভিনেগার লিভারের পাশে জমে থাকা চর্বি কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে। এক গ্লাস গরম পানিতে এক চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন। চাইলে এর সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়েও নিতে পারেন। দু’বেলা খাওয়ার আগে এই মিশ্রণ খাওয়ার চেষ্টা করবেন। তবে সকালে খালি পেটে খাওয়াটাই বেশি ভাল।
মাস খানেক নিয়ম মেনে এই মিশ্রণ সেবন করতে পারলেই ফ্যাটি লিভারের সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। তবে যারা অ্যালকহলিক ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগছেন, তারা অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ নিন। না হলে বিপদ বাড়বে!
সূত্র : জি বাংলা
এএইচ/এসএ/