মিরসরাইয়ে কৃষি জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদে মানববন্ধন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:১৬ পিএম, ৩০ জুন ২০২০ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৭:১৮ পিএম, ৩০ জুন ২০২০ মঙ্গলবার
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরের মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে তিন ফসলী জমি অধিগ্রহণের জন্য নোটিশ জারি করার প্রতিবাদ ও কৃষি জমি রক্ষা দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জুন) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অমান্য করে দক্ষিণ মঘাদিয়া মৌজার প্রায় ৭০০ একর তিন ফসলী কৃষি জমি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখলের নোটিশ জারির প্রতিবাদে দক্ষিণ মঘাদিয়া এলাকায় এই কর্মসূচী পালিত হয়। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রায় ২ হাজার ভূমির মালিক উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় মাইনুল হোসেন রোকনের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে মঘাদিয়া ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুর হোসেন বলেন, ৩০ হাজার একর জমি নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। যেখানে প্রাথমিক কাজ চলমান রয়েছে। ২০১৮ সালের ২৪ জানুয়ারী মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষি জমিতে শিল্প কারখানা না করার জন্য নির্দেশনা দেন। তাঁর নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে ২০১৮ সালের ৭ মার্চ দক্ষিণ মঘাদিয়া মৌজার ৭০০ একর আবাদী তিন ফসলী জমি বেড়িবাঁধের ভিতরে এল.এ কেস নং ১৩/২০১৭-২০১৮ ও ৯/২০১৮-২০১৯ অধিগ্রহণের নিমিত্তে ৪ (১) ধারার নোটিশ জারি করা হয়।
পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ২০ মার্চ উক্ত নোটিশের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে আমরা আপত্তি জানালে ২০১৯ সালের ৬ মার্চ শুনানী হয়। ২০১৯ সালের ৩ এপ্রিল মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলের একটি অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী কৃষি জমিতে কোন স্থাপনা না করার জন্য পুনরায় নির্দেশনা দেন।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ওই ঘোষণার পর অধিগ্রহণের কাজ এক বছর বন্ধ থাকলেও গত ৩১ মে উপরোক্ত মামলায় ধারা-৭ এর ১ উপধারার নোটিশ জারি করা হয়। আমরা ১১ নং মঘাদিয়া, ১৩ নং মায়ানী, ১৬ নং সাহেরখালী ইউনিয়নের ১০ হাজার মানুষ নিজেদের শেষ সম্বলটুকু রক্ষা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
উপস্থিত ভূমি মালিক সালেহ আহমদ, একরামুল হক, মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুল হক বলেন, আমাদের শেষ সম্ভবলটুকু যদি অধিগ্রহণ করে ফেলে তাহলে আমাদের না খেয়ে মরতে হবে। এখানে আউশ, আমন ধানের পাশাপাশি রবি শষ্য ও শীতকালীন সবজি চাষ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী কৃষি জমিতে শিল্প কারখানা না করার ঘোষণা দেওয়ার পরও বেজা জমি অধিগ্রহণের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।
কেআই/