হুয়াওয়ের লোগো বিবর্তনের যাত্রা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৫১ পিএম, ৩০ জুন ২০২০ মঙ্গলবার
মান্দারিন ভাষায় হুয়াওয়ের প্রথম তিনটি অক্ষর অর্থাৎ ‘হুয়া’অর্থ পাপড়ি বা উদার এবং আভিজাত্য। অন্যদিকে মান্দারিন ভাষায় এর পরের তিনটি অক্ষর ‘ওয়ে’ দিয়ে সাফল্য অথবা কাজকে বোঝানো হয়। অর্থাৎ, হুয়াওয়ের লোগো সাফল্য কিংবা গর্বের প্রতীক।
৩৩ বছরের পথচলায় হুয়াওয়ে তিনবার এর লোগো পরিবর্তন করেছে। ১৯৮৭ সালে হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠার সময়েই প্রতিষ্ঠানটির মূল লোগো তৈরি করা হয়। এরপরের সংস্করণগুলোতে কিছু উপাদানের মিল সব সময়ই পাওয়া গিয়েছে। যেমন: একাধিক পাপড়ি, লাল রঙ ও প্রবৃদ্ধি বা ঊর্ধ্বমুখী প্রবাহ (যা সূর্যোদয়ের অনুরূপ)।
সর্বশেষ ২০১৮ সালে পি২০ স্মার্টফোন উন্মোচনের সময় নতুন এ লোগোটি উন্মোচন করা হয়। নতুন লোগোতে থাকা ‘ফুল’ আকৃতি মূলত একই আছে তবে হুয়াওয়ে কনজ্যুমার বিজনেস গ্রুপ এবং হুয়াওয়ে করপোরেটের লোগোর মধ্যে সামান্য পার্থক্য রাখা হয়েছে। হুয়াওয়ে করপোরেট এর ক্যারিয়ার নেটওয়ার্ক বিজনেস গ্রুপ, এন্টারপ্রাইজ বিজনেস গ্রুপ ও ক্লাউড বিজনেস গ্রুপেরই সমন্বিত রূপ। হুয়াওয়ে কনজ্যুমার বিজনেস গ্রুপের লোগোতে থাকা পাপড়িগুলোয় একই রকম লাল রঙ বিরাজমান অন্যদিকে হুয়াওয়ে করপোরেটের লোগোতে রয়েছে আলোচ্ছটা। নতুন লোগোতে ফন্টের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এসেছে যা সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান ‘ঊ’ অক্ষরটিতে। আর আগের লোগোতে ‘ঊ’ অক্ষরটি সামান্য বাঁকানো ছিলো আর নতুন লোগোতে যা পুরোপুরি সোজা।
হুয়াওয়ের নতুন লোগোটি প্রতিষ্ঠানটির ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও কৌশলগত অংশীদারিত্বের প্রতীক এবং লোগোটিতে প্রতিষ্ঠানটির সামনের দিনগুলোর ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার বিষয়টিও ফুটে উঠেছে।
এর আগে, ২০০৬ সালে প্রথম প্রতিষ্ঠানটি এর প্রতীকে পরিবর্তন আনে। লোগোতে পাপড়িগুলো কোণাকুণিভাবে আরো ছড়ানো হয়, অন্যদিকে সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়। লোগোতে থ্রিডি ইফেক্ট ব্যবহার করা হয়েছিলো, যেখানে সূর্যোদয়ের বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়। হুয়াওয়ের লোগোটি প্রতিষ্ঠানটির নীতিগুলোরই (গ্রাহক কেন্দ্রিক মনোভাব, উদ্ভাবন, দৃঢ়তা, টেকসই প্রবৃদ্ধি ও ঐক্য) প্রতিফলন ঘটায়।
হুয়াওয়ের লোগো প্রতিষ্ঠানটির নীতি ও যেভাবে গ্রাহক সেবা প্রদানকারী ব্র্যান্ড হয়েছে তারই প্রতিনিধিত্ব করে। লোগোতে ব্যবহৃত আইকনের আকৃতিগুলো নিচের দিকে মাঝখানে কেন্দ্রীভূত আছে এবং এ আকৃতিগুলো গ্রাহকদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী ভ্যালু তৈরির ধারণারই প্রতিনিধিত্ব করে।
হুয়াওয়ে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) অবকাঠামো এবং স্মার্ট ডিভাইস সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। সমৃদ্ধ জীবন নিশ্চিতকরণ ও উদ্ভাবনী দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সবাইকে সংযুক্ত করে একটি উন্নত পৃথিবী গড়ে তোলাই প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য। হুয়াওয়ের এক লাখ ৯৪ হাজারেরও অধিক কর্মী রয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৭০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে তিন বিলিয়নেরও অধিক মানুষকে সেবা দিচ্ছে।
১৯৯৮ সালে বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর পর থেকে হুয়াওয়ে এদেশে বহু সংখ্যক উদ্ভাবনী পণ্য ও সেবা চালু করেছে। ফাইভজি সেবা নিয়ে আসার মাধ্যমে বাংলাদেশের ডিজিটাল খাতকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠানটির সাড়ে চারশ’রও অধিক কর্মী আছে এবং রাজধানী ঢাকায় রয়েছে হুয়াওয়ের তিনটি অফিস। আইসিটি বাস ট্রেনিং, সিএসআর উদ্যোগ এবং এন্টারপ্রাইজ বিজনেসের মতো বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনার মাধ্যমে সমাজের ক্ষমতায়নে অবদান রাখছে হুয়াওয়ে।
আরকে//