ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১

বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদীর জন্মদিন আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:০৭ এএম, ১ জুলাই ২০২০ বুধবার

বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী, সংগীত ব্যক্তিত্ব সৈয়দ আব্দুল হাদীর জন্মদিন আজ। ১৯৪০ সালের ১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বেড়ে উঠেছেন আগরতলা, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া এবং কলকাতায়। তবে তার কলেজ জীবন কেটেছে রংপুর আর ঢাকায়। 

১৯৫৮ সালে সৈয়দ আবদুল হাদী ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রযোজক হিসেবেও তিনি কাজ করেছেন। সর্বশেষে তিনি লন্ডনে ওয়েল্স ইউনিভার্সিটিতে প্রিন্সিপাল লাইব্রেরীয়ান হিসেবে কাজ করেছেন।

সৈয়দ আবদুল হাদী দেশাত্ববোধক গানের জন্য জনপ্রিয়। পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি সঙ্গীত করছেন। ১৯৬০ সালে ছাত্রজীবন থেকেই চলচ্চিত্রে গান গাওয়া শুরু করেন। ১৯৬৪ সালে সৈয়দ আবদুল হাদী একক কণ্ঠে প্রথম বাংলা সিনেমায় গান করেন।

তার উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে-
‘যেও না সাথী, ও যেও না সাথী, চলেছো একেলা কোথায়’, ‘চক্ষের নজর এমনি কইরা একদিন খইয়া যাবে’, ‘একবার যদি কেউ ভালোবাসতো’, ‘চলে যায় যদি কেউ বাঁধন ছিঁড়ে কাঁদিস কেন মন’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো আর কতদিন বল সইবো’, ‘আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার’, ‘এমনওতো প্রেম হয়’, ‘সতী মায়ের সতী কন্যা’, ‘চোখ বুঝিলে দুনিয়া আন্ধার’, ‘যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে’ ইত্যাদি।

আশি বছরে পদার্পণের এই দিনটি নিয়ে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই হাদীর। 

অগণিত কালজয়ী গানের এই শিল্পী জানান, ঘটা করে জন্মদিন পালন করা কখনই হয়ে ওঠেনি। অনেকে চাইলেও জন্মদিন বর্ণাঢ্যভাবে উদযাপনের পক্ষে তিনি ছিলেন না। তারপরও এই দিনটি এলেই সবাই শুভেচ্ছা জানান, দোয়া করেন, এটাই তার বড় প্রাপ্তি; এটাকেই বড় প্রাপ্তি বলে মনে করেন তিনি। 

সৈয়দ আব্দুল হাদী বলেন, ‘অন্যান্য দিনের মতোই পরিবারের সঙ্গে সময় কাটবে। অনেকে হয়তো শুভেচ্ছা, ভালোবাসা জানাবেন- সেই ভালো লাগাটুকু নিয়েই দিনটি কেটে যাবে। একে একে বয়স কত হলো- এটা অবশ্য দেখার বিষয়। কেননা, বয়স বেড়ে যাওয়া মানেই আয়ু কমে যাওয়া। তাই আশি বছরে পা দেওয়ার ঘটনাটা আমাকে সেভাবে আলোড়িত করছে না। পৃথিবীর নিয়মে মানুষের বয়স বাড়ে, আমারও বেড়েছে, পা দিচ্ছি আশি বছরে। এ নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশের তো কিছু নেই। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় এখনও ভালো আছি, সুস্থ আছি- এতেই আমি খুশি।’

প্রসঙ্গত, ষাটের দশক থেকে শুরু হয়েছিল সৈয়দ আব্দুল হাদীর সংগীত ভুবনে পথচলা। সেই শুরু এবং এখনও তা অব্যাহত আছে। রেডিও, টেলিভিশন, চলচ্চিত্র, ক্যাসেট, অনলাইনসহ প্রতিটি মাধ্যমে ছিল তার বিচরণ। গানের পাশাপাশি টিভি অনুষ্ঠান প্রযোজনা, উপস্থাপনা, শিক্ষকতাসহ আরও বেশ কিছু পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। তবে গান তার জীবনের বড় অধ্যায় রচনা করেছে। গানের জন্য পেয়েছেন একাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, রাষ্ট্রীয় একুশে পদকসহ অগণিত পুরস্কার ও সম্মাননা।
এসএ/