ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

করোনা ওষুধ নিয়ে মাথায় হাত রামদেবের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৪১ পিএম, ১ জুলাই ২০২০ বুধবার

ভারতের যোগগুরু রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি বেশ কিছু দিন ধরে তাদের ওষুধ করোনিল ‘৭ দিনে করোনা সারাতে ১০০ শতাংশ সফল’ এমন দাবি করে আসছিল। কিন্তু এখন তারা বলছে, এমন দাবি কখনওই করা হয়নি তাদের পক্ষ থেকে। কার্যত দাবি থেকে পিছু হটলো রামদেবের সংস্থাটি।

পতঞ্জলির সংস্থার সিইও আচার্য বালকৃষ্ণ আজ বলেন, ‘‘আমরা কখনওই বলিনি এই ওষুধটি করোনা সারাতে বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।  বলেছিলাম, আমরা ওষুধ তৈরি করে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করেছি। তাতে করোনা রোগীরা সেরে উঠেছেন। এতে কোনও জটিলতা নেই।’’ খবর আনন্দবাজার

গত সপ্তাহে পতঞ্জলি জানায়, ‘করোনিল’ ও ‘শ্বাসরি’ নামের দুটি ওষুধ বাজারে ছেড়েছে তারা এবং এই ওষুধ ৭ দিনে করোনা সারাতে ১০০ শতাংশ সফল। এই দাবির পরে পতঞ্জলিকে নোটিশ পাঠিয়ে ওষুধের উপাদান ও পরীক্ষামূলক প্রয়োগ সংক্রান্ত তথ্য তলব করে ভারতের আয়ুষ মন্ত্রণালয়। 

এর পরই আজ বালকৃষ্ণ বলেন, ‘‘আমরা উন্নত পর্যায়ে তুলসী, গিলয় এবং অশ্বগন্ধার মেলবন্ধন ঘটিয়েছিলাম। কোভিড-১৯ রোগীদের উপরে  পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করার পরে তারা সেরে উঠেছেন। মন্ত্রণালয় যদি আবার ওই পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করতে বলে, আমরা তৈরি।’’ 

করোনিল ওষুধ নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগে গত শুক্রবার (২৬ জুন) জয়পুরের জ্যোতিনগর থানায় রামদেব, আচার্য বালকৃষ্ণ, বিজ্ঞানী অনুরাগ বারষ্ণে, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স (নিমস)-এর চেয়ারম্যান বলবীর সিংহ তোমর এবং ডিরেক্টর অনুরাগ তোমরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। 

পতঞ্জলি করোনা সারাতে একশ’ ভাগ সফল বলে দাবি করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই উত্তরখণ্ড সরকারের আয়ুর্বেদ বিভাগ জানিয়েছিল, করোনা 
চিকিৎসার ওষুধ তৈরির কোনও লাইসেন্সই নেয়নি সংস্থাটির।

এরই মধ্যে পতঞ্জলির দাবি নিয়ে রামদেব ও ওই সংস্থার এমডি আচার্য বালকৃষ্ণের বিরুদ্ধে বিহারের একটি আদালতে মামলা হয়েছে। মামলাকারীর অভিযোগ, করোনার ওষুধ বাজারে আনার কথা বলে মানুষকে ভুল পথে চালিত করেছেন রামদেব। 

এই টানাপড়েনে ‘অ্যাডভার্টাইজিং স্ট্যান্ডার্ডস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া’ জানিয়েছে, এপ্রিল মাসেই করোনা সারানোর দাবি নিয়ে আয়ুর্বেদ ও হোমিওপ্যাথ ওষুধের অন্তত ৫০টি বিজ্ঞাপন তাদের নজরে এসেছে। এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন 
জানিয়েছেন তারা।

এএইচ/এসি