উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৫৪ পিএম, ১ জুলাই ২০২০ বুধবার | আপডেট: ১২:৩৯ এএম, ২ জুলাই ২০২০ বৃহস্পতিবার
ফাইল ছবি
দেশের উত্তর-পূর্বঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সুরমা, কুশিয়ারা, সারি ও যাদুকাটা নদির পানি বিপদ-সীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সিলেট অঞ্চলের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
অপরদিকে, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও জামালপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। তবে টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী ও ফরিদপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে, বিভিন্ন জেলায় বন্যাদুর্গতদের মাঝে সরকারিভাবে ত্রাণ-সামগ্রী বিতরণও চলছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা সতর্কীকরণ সেলের প্রেস-বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে সার্বিক বন্যা-পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির বিষয়টি জানা গেছে।
সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে বুধবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত সময়ে বিপদ-সীমার ৩৫ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে এবং কুশিয়ারা, সারি ও যাদুকাটা নদির পানি সব পয়েন্টেই বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এদিকে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যাদুর্গতদের মাঝে সরকারি উদ্যোগে ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। তবে বন্যাকবলিত সিলেট সদর উপজেলায় মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে নতুন করে ১শ’ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১০ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে।
সিলেটের জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে এ অঞ্চলের বন্যাকবলিত মানুষের জন্য ১৮ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৭২ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ জানিয়েছেন,এ জেলার বন্যা পরিস্থিতি আগের তুলনায় কিছুটা ভালো। তিনি জানান,সুরমা ও অন্যান্য নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নীচে নেমে আসতে শুরু করেছে। বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রসহ জেলার বন্যাকবলিত এলাকায় সরকারি ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলেও জেলা প্রশাসক উল্লেখ করেন।
এসি