ঢাকা, বুধবার   ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ২০ ১৪৩১

চলে গেলেন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি এভারটন উইকস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:২৬ এএম, ২ জুলাই ২০২০ বৃহস্পতিবার

দুই সাবেক সতীর্থ স্যার ক্লাইড ওয়ালকট এবং স্যার ফ্র্যাঙ্ক ওরেলের ঠিকানায় পাড়ি জমালেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিখ্যাত ‘থ্রি ডব্লিউ’ এর শেষজন স্যার এভারটন উইকস। 

দীর্ঘদিন অসুস্থতায় ভুগে বুধবার বারবাডোজে নিজ বাড়িতে মারা যান সাবেক এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৫।

ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর জানায়। 

১৯৪৮ সালে তিন সপ্তাহের ব্যবধানে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের ‘থ্রি ডব্লিউ’ স্যার ক্লাইড ওয়ালকট (Sir Clyde Walcott), স্যার ফ্র্যাংক ওরেল (Sir Frank Worrell) এবং স্যার এভারটন উইকসের (Sir Everton Weekes)। তাদের তিনজনেরই জন্ম বার্বাডোজে।

একটি কথা প্রচলিত রয়েছে যে ১৯২৪ থেকে ১৯২৬ সালের মধ্যে জন্ম নেয়া ওয়ালকট, ওরেল এবং উইকসের ধাত্রী মা’ও ছিলেন একই নারী। আর পরে তো ক্রিকেট বিশ্বই দেখেছে এ তিন ডব্লিউয়ের তাণ্ডব। প্রথম দুজন অর্থাৎ ওয়ালকট (২০০৬) ও ওরেল (১৯৬৭) মারা গেছেন আগেই। বুধবার না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন স্যার উইকস।

তিন ডব্লিউয়ের সবাই দুর্দান্ত ক্যারিয়ার কাটিয়েছেন। ক্যারিবীয়দের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ অধিনায়ক হয়েছিলেন ওরেল। পরে জ্যামাইকার সিনেটর হিসেবেও নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। টেস্ট ক্যারিয়ারে ওয়ালকটের গড় ছিল ৫৬.৬৮। যিনি পরে আইসিসি প্রথম অশ্বেতাঙ্গ প্রতিনিধি নির্বাচিত হন।

স্যার ফ্র্যাংক ওরেলের সঙ্গে ব্যাটিংয়ে নামছেন স্যার এভারটন উইকস (ডানে)

তবে তাদের দুজনের চেয়েও তর্কাতীতভাবে সেরা ব্যাটসম্যান ছিলেন এভারটন উইকস। ১৯৪৮ অর্থাৎ অভিষেকের বছরেই মার্চ থেকে ডিসেম্বরের ভেতরে টানা পাঁচ টেস্টে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। ষষ্ঠ টেস্টে আম্পায়ারের ভুলে আউট হন ৯০ রান করে। মাত্র ১২ ইনিংসে পূরণ করেছিলেন ক্যারিয়ারের ১০০০ রান। এর চেয়ে দ্রুত আর কেউ এই মাইলফলকে পৌঁছতে পারেননি।

ক্যারিয়ার শেষে ৪৮ টেস্টে ১৫ সেঞ্চুরি ও ১৯ হাফসেঞ্চুরিতে ৫৮.৬১ গড়ে ৪৪৫৫ রান করেন উইকস। টেস্ট ক্রিকেটে অন্তত ২০ ইনিংস ব্যাট করা ক্রিকেটারদের মধ্যে উইকসের গড় দশম সর্বোচ্চ। উইকসের ব্যাটিংয়ের মধ্যে স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের ছায়া দেখতে পেতেন অনেকেই।

১৯৫১ সালে উইজডেনের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মান পান এভারটন উইকস। পরে ১৯৯৫ সালে ক্রিকেটে অবদানের জন্য নাইটহুড উপাধি লাভ করেন তিনি এবং নামের সামনে যোগ হয় ‘স্যার’ শব্দটি।

এমবি//