ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

রকিবুল হাসানের দু’টি কবিতা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:৪২ পিএম, ২ জুলাই ২০২০ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৮:৪২ পিএম, ২ জুলাই ২০২০ বৃহস্পতিবার

একটি ব্যক্তিগত কবিতা

তোমার মৃত্যুতে কী ভীষণ আর্তনাদ করে উঠলো মেঘ
তারপর বুকভাঙা কান্না
তোমার শীতল মাথা ছুঁয়ে থাকি
তুমি ঘুমোচ্ছ-ক্লান্ত চোখ-এলোমেলো চুল

তোমার মাথায় হাত রেখে
অপেক্ষায় জেগে থাকি-কখন ভাঙবে ঘুম!
তুমি জেগে উঠেই বলবে, মেজো ভাই কখন এলেন!
কখন যে ঘুমিয়ে গেছে-একটুও টের পাইনি।

ঘুম ভেঙেই বলবে, মিলন আসেনি?
কাব্যমুনিকে আনেননি?
কতোদিন সোনামুখটা দেখিনি!
আমি অপেক্ষায় থাকি-ঘুম ভাঙে না তোমার
আমি অভিমানের মেঘ হয়ে উঠে যেতেই
তুমি বললে, মেজো ভাই, আমাকে না নিয়েই চলে যাচ্ছেন!

ব্যাকুল তৃষ্ণায় ফিরে আসি
হাত রাখি শিয়রে তোমার; ডাক দিই-বুলবুল...
অতল গহিনে পৌঁছে না আমার ডাক
অপেক্ষায় আবারও বসে থাকি
ঘুম ভেঙে বলবে, মেজো ভাই কতোক্ষণ বসে আছেন!

তুমি অতল গহিন ঘুমে ডুবে আছো
পৃথিবীর সব ক্লান্তি তোমার শরীরে,
পাথরের মতো ভারি পায়ে
আবার উঠে দাঁড়াই-পা বাড়াই..

তুমি আবার বললে, মেজো ভাই, চলে যাচ্ছেন!
বিদ্যুৎগতিতে ফিরে তাকাই-শুধুই অন্ধকার..
                          বুকভাঙা আর্তনাদ...


মৃত্যুর অপেক্ষা

রাতভর কবর খুঁড়েছি
তারপর
অন্ধকার থেকে পানি
এনেছি শেষ স্নানের জন্য

করোনাবাসরে ভীষণ ক্লান্ত
পৃথিবীকে দেখে নিচ্ছি
বিবর্ণ পিপাসা
কবরের কিনারে বসে
কোনো স্বজন নেই
কোনো মানুষ নেই
কেউ নেই

এখুনি কবরে নেমে যাবো
নেমে যাবো
নেমে যাচ্ছি
কেউ নেই

এনএস/