করোনায় ঘরে বসেই যেভাবে বাড়াবেন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:০৭ পিএম, ২ জুলাই ২০২০ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৮:১২ পিএম, ২ জুলাই ২০২০ বৃহস্পতিবার
করোনায় সবাই এখন ঘরবন্দি। চিকিৎসকরা বলছেন, এ সময় সবাই ভরপেটে খাওয়া দাওয়া করুন। যাতে শরীরের রোগপ্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। তার মধ্যেও আবার অনেকে বলছেন, মাছ, মাংস, ডিমের মতো প্রাণিজ প্রোটিনের দিকে কয়দিন একটু কমই দৌড়োলেন। কে বলতে পারে, ওদের শরীরেও জীবাণু ছড়িয়ে আছে কিনা!
তার চেয়ে নিরামিষাশী হয়ে যান। ভরসা রাখুন উদ্দিজ্জ প্রোটিনে। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি কম। শরীরেও ভিটামিন, মিনারেলসের ঘাটতি পূরণ হবে। এটা গেল খাবারের দিক। ফল, সবজি দিয়ে না হয় উদরপূর্তি হল। আর কী কী উপায় অবলম্বন করলে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা? পালানোর পথ পাবে না করোনা?
বাড়িতে বসে শিখে নিন সংক্রমণ ঠেকানোর সহজ পন্থা-
১. দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকুন
করোনা এখন বিশ্বের ত্রাস। আগামী দিন কেমন হবে! কেউ জানে না। তাই নিয়ে সারাক্ষণ যদি দুশ্চিন্তা করেন তাহলেও কি সমস্যার সমাধান হবে? বোধহয় না। তাই দুশ্চিন্তা ভুলে ঘরের মধ্যে নিরাপদে জীবন কাটান। স্বাস্থ্যবিধি মানুন। আর মনকে শান্ত রাখতে ধ্যান বা মেডিটেশন করুন।
২. ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খান
শরীরে ভিটামিন এ, সি, ডি, ই এবং বি ২-এর মতো জরুরি ভিটামিনস থাকলে সমস্ত রোগের সঙ্গে মোকাবিলা করতে আপনি তৈরি। ভিটামিন ওষুধ বা সাপ্লিমেন্ট খেয়ে নয়, ডায়েটে রাখুন গাজর, ব্রক্কলি, সাইট্রাস ফল, অ্যাভোকাডো, বাদাম এবং মরশুমী সবজি। বেশি করে এগুলোই এখন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খান।
৩. রান্নায় থাক রকমারি মশলা
ভারতীয় বহু মশলা ভেষজ গুণ সমৃদ্ধ। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র তাই-ই বলে। যেমন, খাবারে গোলমরিচ, রসুন এবং আদা দিয়ে রান্না করলে এগুলির ভিটামিন এবং জীবাণুনাশক উপাদান সর্দি-কাশির সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে।
৪. শরীরচর্চায় মাতুন
রোজের শরীরচর্চা শুধুই মন এবং শরীরকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে তাই নয়, শরীরকে রোগের বিরুদ্ধে ল়ড়ার উপযুক্ত করে গড়ে তোলে। ঘরেই হালকা যোগব্যায়াম, খোলা ছাদে জগিং শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। যা রোগ প্রতিরোধ বাড়াতেও সাহায্য করে।
৫. খান কম, পান করুন বেশি
শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রচুর পানীয় রয়েছে। যেমন, হলুদ দুধ, বা দারুচিনি, আদা এবং আরও মশলা মিশিয়ে তৈরি হলুদ লেট্টি। লেবু, আদা এবং মধু দিয়ে তৈরি পানীয়। আর খেতে পারেন টক দইয়ের ঘোল, কমলা-হলুদ-পাতিলেবুর সরবত।
৬. নিশ্চিন্তে ঘুমোন
কম ঘুম শরীরকে আরও অসুস্থ করে। তাই এই সময় আট ঘণ্টা টানা ঘুম ভীষণ জরুরি। নিশ্ছিদ্র ঘুম আনতে ঈষদুষ্ণ পানিতে স্নান, ঈষদুষ্ণ দুধ পান এবং ভালো বই পড়ে শরীর-মন শান্ত করে শুতে যান। দেখবেন, এক ঘুমেই রাত কাবার।
এসি