ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

প্রথম বিসিএসেই শিক্ষা ক‍্যাডারে ৩য় ববির সুশান্ত 

ওবায়দুর রহমান, ববি সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ১০:৪৯ পিএম, ২ জুলাই ২০২০ বৃহস্পতিবার

স্বপ্ন! সফলতা! শব্দগুলো শুনলে সবারই আলাদা একটি অনুভূতি কাজ করে থাকে। জীবনে সবারই স্বপ্ন থাকে। সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে পারাকেই আমরা সাধারণত সফলতা বলে থাকি। তেমনি একজন তরুণ সুশান্ত মুজমদার। সুশান্ত মুজমদার ৩৮ তম বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক‍্যাডারে তৃতীয় স্থান অধিকারী। তার সাফল্যের কথা  জানাচ্ছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা ওবায়দুর রহমান।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ব‍্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১১-১২ সেশনের শিক্ষার্থী সুশান্ত মুজমদার (শান্ত)। ব‍্যবস্থাপনা বিভাগের ১ম ব‍্যাচের এই শিক্ষার্থী  তীব্র ইচ্ছা ও অধ‍্যবসায়ের বলে জীবনের প্রথম বিসিএস পরীক্ষায় শিক্ষা ক‍্যাডারে তৃতীয় স্থান অর্জন করে সাফল্য দেখিয়েছেন।

সুশান্ত মুজমদারের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর সদর উপজেলার লখাকাঠী গ্রামে। পিতা সন্তোষ কুমার মজুমদার পেশায় একজন ব‍্যবসায়ী। মাতা জ‍্যোস্না রানী মজুমদার একজন গৃহিনী। তিন ভাই-বোনের মধ্যে তৃতীয় সুশান্ত মুজমদার। ছোটবেলা থেকেই গ্রামে বড় হয়েছেন তিনি। ২০০৯ সালে  হুলারহাট  মাধ‍্যমিক বিদ‍্যালয় থেকে এসএসসি ও ২০১১ সালে পিরোজপুর সরকারী সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দেন। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১১-১২ সেশনে ভর্তি হয়ে ২০১৫ সালে স্নাতক ও ২০১৮ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ব‍্যবস্থাপনা বিভাগ থেকেস্নাতক ও স্নাতকোত্তরে প্রথম শ্রেণীতে যথাক্রমে ৫ম ও ৪র্থ মেধাস্থান অর্জন করেন তিনি।   বর্তমানে কর্মরত আছেন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর উপ-পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে।

প্রথম বিসিএসে সাফল্যের অনূভুতি প্রকাশ করে সুশান্ত মুজমদার বলেন, অনেক দিনের অনেক প্রতিক্ষার ফল পাওয়ার অনুভূর্তি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়,  তবুও বলব আসলে অনেক ভালো লেগেছে। অনেক দিনের পরিশ্রমের ফলাফল এটা। প্রথমে তো অনেকটা বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। বিশেষ করে ফলাফল পাবার আগের  মুহূর্তটা দম বন্ধ হয়ে আসছিল।ফলাফল পাবার পর যেন মনে হলো আসলেই আমি পেরেছি। আমি পেরেছি আমার লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেএে সফল হতে। মনের অনুভূতিটা প্রকাশের আসলেই কোন সঠিক ভাষা আমার জানা নেই।

সাফল্যের পেছনের গল্প বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আমরা আসলেই  সবাই সাফল্যটাই দেখি কিন্তু এর পিছনে আসলে কতখানি পরিশ্রম থাকে সেটা অনেকেই এরিয়ে যাই।আমি অনেক   ছোট একটা শহর থেকে এসেছি ।আমার বাবা -মা দুজনই খুব বেশি শিক্ষিত মানুষ নন।কিন্তু শিক্ষার প্রতি  যে আগ্রহ বা তাদের সন্তাদের মানুষ করার যে প্রচেষ্টা তাদের মধ্যে আমি দেখছি  তা আমাকে আমার শিক্ষাজীবনে অনেক বেশি অনুপ্রেরণা  যুগিয়েছিল তার ফলাফল আপনাদের সামনে।আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের স‍্যার এবং আমার কোচিং এর স‍্যার সবার কাছেই আমি কৃতজ্ঞ। সর্বোপরি মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞ  যার ইচ্ছা না থাকলে এসব কিছুই  সম্ভব হতো না।

নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমরা  সময় নষ্ট করো না। আমরা  আসলেই ভার্সিটি লাইফে সময় নষ্ট করি। যার যে সেক্টরেই যাওয়ার ইচ্ছা থাকুক না কেন সেই দিকটাতে উন্নত  করা উচিত । মোট কথা পড়াশুনা করা উচিত।সবাই যে বিসিএস দিবে এমনটা নয়। অনেকে রিসার্চ করতে চায়। অনেকে দেশের বাইরে যেতে চায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে চায়, বিসিএস তো আছেই। আমি বলব একাডেমি লাইফে নিজের পঠিত বিষয়কে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত । তারপর অন‍্য পড়াশুনা । সবার একটা  লক্ষ‍্য ঠিক করে আগাতে হবে, বিসিএস অনেক সময়ের ব‍্যাপার। তাই এখানে ধৈর্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর ভার্সটি লাইফে ঘুরে ফিরে সময় নষ্ট  করা উচিত নয়।সর্বোপরি দক্ষতা অর্জনের জন‍্য নিজের সব্বোর্চটা দিয়ে চেষ্টা করতে হবে।

আরকে//