লাদাখ সীমান্তে চীনের ‘আসল চেহারা’ দেখা যাচ্ছে: ট্রাম্প
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:৪৫ পিএম, ৩ জুলাই ২০২০ শুক্রবার | আপডেট: ০৪:৪৮ পিএম, ৩ জুলাই ২০২০ শুক্রবার
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প- দ্যা ট্রিবিউন
লাদাখ বিতর্কে ফের মুখ খুললেন ডনাল্ড ট্রাম্প। ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে বললেন, চীনের আগ্রাসী নীতিই এর জন্য দায়ী। লাদাখে ভারত-চীন সংঘাত নিয়ে ফের মুখ খুললেন ডনাল্ড ট্রাম্প। অ্যামেরিকা আরও এক বার বুঝিয়ে দিল, এই পরিস্থিতিতে তারা ভারতের পাশে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, লাদাখ সীমান্তে চীন যে ‘আগ্রাসী’ মনোভাব দেখাচ্ছে, গোটা বিশ্বে সেটাই চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ‘আসল চেহারা’। খবর দ্যা ট্রিবিউন ও ডয়চে ভেলে’র।
গতকাল বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র। ভারত-চীন সংঘাত প্রসঙ্গে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ট্রাম্পের এ বিষয়ে বক্তব্য খুব পরিষ্কার। লাদাখ সীমান্তে চীন যে আগ্রাসন দেখাচ্ছে, গোটা পৃথিবীতেই চীন সে আগ্রাসন দেখিয়ে থাকে। যদিও এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে চাননি ট্রাম্পের মুখপাত্র।
সাউথ চায়না সি বা দক্ষিণ চীন সমুদ্র নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই বিতর্ক রয়েছে। সেখানে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং জাপান চীনের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের অভিযোগ তুলেছে। অন্য দিকে হংকং এবং তাইওয়ান নিয়েও সমস্যা চলছে। চীনের হংকং পদক্ষেপ নিয়ে পৃথিবীর বহু দেশ সমালোচনা করছে। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের বক্তব্য কূটনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতের পাশে থেকে এ ক্ষেত্রে অ্যামেরিকা চীনকে বার্তা দিতে চাইছে বলেই মনে করছেন তারা।
ট্রাম্প অবশ্য বলেছেন, ভারত এবং চীন দুই রাষ্ট্রই আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধান খোঁজার চেষ্টা করছে। অ্যামেরিকা এই প্রক্রিয়াকে সাধুবাদ জানায়। শুধু তাই নয়, এর আগে লাদাখ সমস্যা মেটানোর জন্য মধ্যস্থতার প্রস্তাবও দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ভারত এবং চীন কোনও দেশই অবশ্য তাতে সম্মতি জানায়নি।
ট্রাম্পের এই বক্তব্যের এক দিন আগেই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ভারত যে ৫৯টি চীনা অ্যাপের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তা তিনি সমর্থন করেন। তাঁর বক্তব্য, সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতে এবং দেশের নিরাপত্তা অটুট রাখতেই এ কাজ করেছে ভারত। তাঁর এ বিষয়ে পূর্ণ সমর্থন আছে।
চীনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পাশাপাশি ভারত আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলেও লাদাখ বিতর্ক পৌঁছে দিয়েছে। কয়েক দিন আগেই দেশের বিদেশমন্ত্রী ফ্রান্সের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করছিলেন। ফ্রান্স তাঁকে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিল। কারণ ভারতের সঙ্গে ফ্রান্সের ট্যাকটিকাল সম্পর্ক সামরিক রয়েছে। অ্যামেরিকার সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে ভারত।
এমএস/এসি