রেড জোনে গোটা রাজশাহী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:২৫ পিএম, ৩ জুলাই ২০২০ শুক্রবার
করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে দেশের বিভিন্ন এলাকাকে জোন ভিত্তিতে ভাগ করে তাতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ভাইরাসের বিস্তারের হার অনুযায়ী রাজশাহী জেলার সব এলাকাকে রেড জোন’র আওতাভূক্ত করা হয়েছে। তবে এখনও লকডাউন বা অবরুদ্ধ করার কোন খবর আসেনি বলে জানা যায়।
আজ শুক্রবার পর্যন্ত রাজশাহী জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯১০ জন বলে জানিয়েছেন রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক। তিনি বলেন, ‘রাজশাহীতে জনসংখ্যা ৩০ লাখ। জোন ঘোষণার শর্ত অনুযায়ী, জেলা ও মহানগরের সব এলাকা এখন রেড জোন। কিন্তু লকডাউনের শর্ত ভিন্ন। যার কারণে লকডাউন ঘোষণা করা সম্ভব হচ্ছে না।’
জানা যায়, জেলায় ৯১০ জন করোনা রোগীর মধ্যে মধ্যে ৬৫০ জনই রাজশাহী মহানগর এলাকায় শনাক্ত হয়েছেন। অন্যদিকে জেলারবাঘা উপজেলায় ২০, চারঘাটে ২৮, পুঠিয়ায় ১৪, দুর্গাপুরে ১২, বাগমারায় ৩১, মোহনপুরে ৪১, তানোরে ৩৭, পবায় ৬৭ এবং গোদাগাড়ীতে ১০ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন। জেলায় এ পর্যন্ত প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৯ জন মারা গেছেন। যার মধ্যে মহানগরীতে ৫ জন। এর বাইরে বাঘা, চারঘাট, পবা ও মোহনপুরে একজন করে মারা গেছেন। তবে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে (শুক্রবার রাতে) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া দুই করোনা রোগীর তথ্য সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের এ হিসাবে নেই। তাদের ধরলে রাজশাহীতে এখন মৃতের সংখ্যা ১১। চিকিৎসার সুস্থ হয়েছেন ১৪০ জন। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন ৭৬১ জন।
গ্রামের চেয়ে শহরে সংক্রমণের হার অনেক বেশি জানিয়ে ডা. এনামুল হক বলেন, ‘শহরে সংক্রমণ বেশি হবার কারণ আমি মনে করি দেরিতে পরীক্ষা শুরু করা। রাজশাহীতে ল্যাব চালুর পর প্রথমে উপজেলাগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সেই তুলনায় শহরের নমুনার পরীক্ষা হয়েছে কম। তখনই করোনা শহরে বিস্তার লাভ করেছে। শহরে সংক্রমণ বেশি হবার অন্য কোনো কারণ আমি আপাতত দেখি না।’ একটি বাড়িতে করোনা রোগী শনাক্ত হলে সেটিসহ তার আশপাশের আরও কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করা হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কোনো মহল্লায় কয়েকটি বাড়িতে করোনা রোগী পাওয়া গেলে সে মহল্লাটিই লকডাউন করা। কিন্তু পুরো শহর লকডাউন করা সম্ভব না।’
এমএস/এসি