সীতাকুণ্ড মান্দারীটোলা সড়কের বেহালদশায় চরম দুর্ভোগে এলাকাবাসী
এম হেদায়েত, সীতাকুন্ড, চট্টগ্রাম:
প্রকাশিত : ০৯:৫৯ পিএম, ৪ জুলাই ২০২০ শনিবার
সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুন্ড মান্দারীটোলা সি সড়কের বেহাল অবস্থা। দূর্ভোগে প্রায় ১০ হাজার মানুষ। রাস্তায় বিভিন্ন স্থানে পিচ খোয়া উঠে গেছে। ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দ সামন্য বৃষ্টিতেই জমে যাই পানি। সড়কের উপর দিয়ে হেলে দুলে ঝুঁকি নিয়ে চলছে গাড়ি। ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে পশ্চিম দিকে প্রায় ৪ কিলোমিটার পর্যন্ত সড়কের এই বেহালদশা।
সীতাকুন্ড উপজেলার সবচেয়ে বড় গ্রাম হিসাবে পরিচিত এই মান্দারীটোলা গ্রামটি। ১০ থেকে ১২ বছর ধরে এ সড়কে এমন বেহাল দশায় প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় সড়ক দূর্ঘটনা। এতে করে রাস্তায় চলাচল কারী প্রায় ১০ হাজার মানুষ দূর্ভোগ প্রোহাচ্ছেন। স্থানীয় বাসীন্দারা জানান এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য অটোরিক্সা এবং প্রায় ১০টি গ্যাস ফ্যাক্টরির বড়-বড় কার্বাড ভ্যান ও গ্যাসবাহী গাড়িসহ নানা ধরণের জানবাহন চলাচল করে। এই রাস্তা দিয়ে প্রায় ৪-৫ গ্রামের মানুষ চলাচল করে আসছে।
গতকাল সরজমিনে দেখা গেছে সামান্য বৃষ্টিতেই এ সড়কের অধিকাংশ স্থানে পিচ ও খোয়া উঠে ছোট-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। যানবাহন চলছে ঝুঁকি নিয়ে, সড়কটি মহাসড়ক থেকে বেড়িবাঁধ পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার জুড়ে উভয় পাঁশে পিচ ও খোয়া উঠে দেবে গেছে। এই সড়কটিতে বড়-বড় খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই কাঁদা পানিতে তলিয়ে যায় সড়কটি। পথ চারীদের জিজ্ঞাসা করলে গ্যস ফ্যাক্টরিতে চাকরি করেন এমন কয়েকজন বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মোটর সাইকেলে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করি।
পথচারী রুবেল বলেন এই সড়ক দিয়ে আমি প্রতিদিন যাতায়াত করি। তিনি আরো বলেন চাকুরিজীবি ও ব্যবসায়ীসহ কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাচল করেন সড়কটি দিয়ে। সড়কটির বেহালদশার কারণে মানুষের দূর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে প্রায়ই দূর্ঘটনা ঘটছে। গতকাল এই সড়ক দিয়ে গ্যাসের সিলেন্ডারবাহী একটি ট্রাক রাস্তার মধ্যে উল্টে গিয়ে ভাগ্যক্রমে বড় ধরনের বিস্ফোরণ মাধ্যমে মহা বিপদ থেকে বেঁচে যায় এলাকাবাসী, যেকোনো মূহুর্তে ঘটে যেতে পারতো বড় ধরনের বিস্ফোরণ। এই ধরনের দূর্ঘটনা এই রাস্তায় প্রায় ঘটে বলে এলাকাবাসী জানান।
মান্দারীটোলা গ্রামের অটোরিক্সা চালক হারুনুর রুশিদ বলেন, ছোট যানবাহন এবং জেমাই, ইউনি গ্যাস, ইউরো, ইউনিবার্সেল গ্যাস ফ্যাক্টরির সহ অনেক গুলো গ্যাস ফেক্টরির বড়-বড় যানবাহন প্রায়ই উল্টে দূর্ঘটনা ঘটেছে এই রাস্তায়। এই গ্যাস ফ্যাক্টরিগুলো নির্মিত হওয়ার পর থেকে রাস্তাটির অবস্থা করুণ হতে চলেছে। অন্তঃসত্তা ও অসুস্থ মনুষের দূর্ভোগ দেখে কান্না আসে। ৫ মিনিটের পথ যেতে সময় লাগে আধা ঘন্টা অথবা তার চেয়েও বেশি।
কার্বাড ভ্যান চালক বেলাল উদ্দিন বলেন গত ১০বছর যাবত এ সড়কটি দিয়ে বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে মালামাল নিয়ে আসি কিন্তু সড়কের অধিকাংশ জায়গায় ছোট-বড় গর্ত হয়ে থাকায় গাড়ি চলে হেলেদুলে, খানাখন্দে চাকা পড়লে গাড়ি তোলা দূঃস্কর হয়ে যায়, আবার উল্টে যাওয়ার উপক্রম হয়। এই অবস্থায় গাড়ি চালাতে খুব কষ্ট হয়। এ বিষয়ে স্থানীয় বাড়বকুন্ড ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাড়বকুন্ড ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাদাকাতুল্লাহ মিয়াজী জানান শুনেছি সড়কটির টেন্ডার হয়েছে বর্ষার পর কাজ শুরু করা হবে। এখন কিন্তু মানুষ চরম দূর্ভোগে রয়েছে।
আরকে//