এখনও বিপদসীমার ওপরে যমুনার পানি, দুর্ভোগে বানভাসি মানুষ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১০:৩৭ এএম, ৫ জুলাই ২০২০ রবিবার
সিরাজগঞ্জে গত দু’দিন ধরে যমুনার পানি ধীরগতিতে কিছুটা কমলেও টানা আট দিন বিপদসীমার ওপর দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন এ জেলার পাঁচটি উপজেলা সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুরের দেড় লক্ষাধিক মানুষ।
বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, উঁচু স্থান ও স্কুল ঘরে ঠাই হয়েছে এসব মানুষদের। যাতে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, পয়ঃনিষ্কাশন সমস্য ও গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।
পানি কমার সাথে সাথে নানা দুর্ভোগের মধ্যেও ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে যমুনাপাড়ের মানুষদের।
অন্যদিকে বন্যায় নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের কৃষকের পাট, তিল,আখ, বাদাম, ভুট্টা ও সবজি খেতের ব্যাপক ক্ষতি আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। ফসলের খেত পানিতে সম্পূর্ণ নিমজ্জিত হওয়ায় ফসল ঘরে তুলতে পারবেন কী-না তা নিয়েই অনেকে শঙ্কায় পড়েছেন।
সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (ডিডি) মো. হাবিবুল হক জানিয়েছেন, ‘জেলার বন্যাকবলিত পাঁচটি উপজেলার ১১ হাজার ১৭ হেক্টর জমির পাট, তিল ও আখ পানিতে ডুবে ক্ষতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি সিরাজগঞ্জের কাজিপুর পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার কমে আজ রোববার সকালে বিপদসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সময় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের হার্ডপয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে।’
ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার পানি সমতলে ধীরগতিতে হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্ট পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
এআই//