ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

করোনার চার মাসে গুরুদাসপুরে ১৪৪ বিয়ে

নাটোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৫:০০ পিএম, ৫ জুলাই ২০২০ রবিবার

মহামারি করোনা ভাইরাসে থমকে গেছে পুরো পৃথিবী। বন্ধ হয়ে গেছে সব ধরনের অনুষ্ঠান। এরপরেও থেমে নেই মানুষের জীবন। থেমে নেই বিয়েও। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করেই চলছে এসব বিবাহের কার্যক্রম। গত চারমাসে ১৪৪ জন দম্পতির বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে নাটোরের গরুদাসপুর উপজেলায়।

এসব বিয়েতে অতিথি নেই বললেই চলে। বর-কনে ও দুই পরিবারের একেবারের সীমিত সংখ্যক সদস্য নিয়ে বিবাহ সম্পন্ন হচ্ছে। কেউ কেউ বিয়ের জন্য লাল বেনারসি শাড়ি না কিনেই মায়ের শাড়ি পড়ে মুখে মাস্ক লাগিয়ে বসছেন বিয়ের পিঁড়িতে। 

অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়ন রয়েছে। গত মার্চে থেকে এ পর্যন্ত ৪ মাসে মোট ১৪৪ জন দম্পতির বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে পৌর সভায় ৪৫, বিয়াঘাট ইউনিয়নে ২৬, চাপিলা ইউনিয়নে ১৭, নাজিরপুর ইউনিয়নে ২৭, খুবজীপুরে ৪ এবং  ধারাবারিষা ও মশিন্দা ইউনিয়নে ২৫টি। 

গুরুদাসপুর উপজেলা কাজী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম জানান, ‘করোনার মধ্যে যে সকল বিয়ে সম্পন্ন হচ্ছে সবগুলোই প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে-মেয়ের। স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করেই এ সকল বিয়ে সম্পন্ন করা হয়েছে। যাদের অধিকাংশতেই বর-কনে ও দুই পরিবারের ৪/৫ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। করোনার শুরু থেকে এ পর্যন্ত আমাদের কোন কাজী বাল্য বিয়ে রেজিস্ট্রি করেননি। আনুষ্ঠানিক কোন বিয়ের খবর পেলে প্রশাসনের সহযোগিতায় বন্ধ করা হয়। কখনও অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে-মেয়ের বিয়ের খবর পেলে প্রশাসনকে অবহিত করি।’

উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমীন জানান, ‘উপজেলাজুড়ে মার্চের শুরু থেকে এ পর্যন্ত এই ৪ মাসে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তমাল হোসেনের নির্দেশে ২০টি বাল্য বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এই বিয়েগুলো বন্ধ করা হয়।’
 
ইউএনও তমাল হোসেন জানান, ‘বাল্য বিয়ে বন্ধে উপজেলা প্রশাসন সব সময় সোচ্চার। যে কোন জায়গা থেকে খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপরও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের আয়োজন করার অনুমতি চাইতে আসলে তাদেরকে নিষেধ করা হচ্ছে এবং সচেতনতামূলক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যে সকল বিয়ে হয়েছে এই চার মাসে তা সম্পূর্ণ ঘরোয়াভাবে।’

এআই/এসি