সান্তাহারে আত্মসাতের খবরে কাবিখার গম ইউএনওর হেফাজতে
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:০২ পিএম, ৫ জুলাই ২০২০ রবিবার
বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার সাইলো থেকে কাবিখা বরাদ্দের ১৪৩ মেট্রিকটন গম উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হচ্ছে বলে এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়ে। এঘটনায় জনপ্রতিনিধিদের দেয়া বরাদ্দকৃত গমগুলো হেফাজতে নেন ইউএনও।
শনিবার মধ্যরাতে সান্তাহার সাইলো (কেন্দ্রিয় গম সংরক্ষনাগার) থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন করে ৬টি গমের ট্রাক নিয়ে যাওয়ার সময় আটক করা হয়।
এ নিয়ে শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত এলাকায় তুলকালাম কান্ড ঘটেছে। রাতে ঘটনাটি জানার পর সান্তাহার টাউন ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ট্রাকগুলো তাঁর হেফাজতে নেন।
জানা গেছে, কাবিখা ও এমপির বিশেষ কাবিখা বরাদ্দকৃত ১২টি প্রকল্পের মাধ্যমে ১৪৩.০৩৯ মেট্রিকটন গম আদমদীঘির জনপ্রতিনিধিদের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়। রাস্তাঘাট, মাঠ ও পুকুর সংস্কার প্রকল্পের জন্য গমগুলো সাইলো থেকে গতকাল শনিবার রাতে উত্তোলন করা হয়। তবে গমগুলো গত ৩০ জুনের মধ্যে উত্তোলন করার কথা থাকলেও তা ৪ জুলাই রাতে উত্তোলন করায় জনমনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়।
ওই উপজেলার ১২টি প্রকল্পের কোনটিতে ভাইস চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান পিন্টু ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এরশাদুল হক টুলুর নাম না থাকার পরও কেন তাঁরা দু'জন রাতে গম উত্তোলন করতে গিয়েছিলেন এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।
আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আবদুল্লাহ বিন রশিদ জানান,উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান পিন্টু ও সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এরশাদুল হক টুলু তাঁকে না জানিয়ে প্রকল্পের গম উত্তোলন করেছেন। প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় সকল গম উত্তোলন করা সঠিক হয়নি। প্রকল্পের কাজ দেখার পর গম বরাদ্দ দেয়া হবে। এ কারণে উত্তোলন করা গম উপজেলা প্রশাসনের হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
আদমদীঘি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান পিন্টু ও সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এরশাদুল হক টুলু জানান, ঘটনার দিন উত্তোলনের কথা ইউএনওকে জানানো হয়নি, কিন্ত আগে জানানো হয়েছে। তাঁরা বলেন সাইলোতে বেশি ভিড়ের কারণে রাতে গম উত্তোলন করতে হয়েছে। এ ছাড়া বৈধ বরাদ্দপত্র নিয়ে গম উত্তোলন করা হয়েছে।
কেআই/