ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ২০ ১৪৩১

দোহারে কিশোরী ধর্ষণ মামলায় গৃহবধূ গ্রেফতার 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:০০ পিএম, ৫ জুলাই ২০২০ রবিবার | আপডেট: ০৯:০২ পিএম, ৫ জুলাই ২০২০ রবিবার

ঢাকার দোহার উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নে এক শিশুকে ধর্ষণে সহযোগিতা করায় সোমা আক্তার (২১) নামে এক গৃহবধূকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দোহার থানায় মামলা হলে পুলিশ শনিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এক রিকশাচালক তার স্ত্রী ও ১৩ বছর বয়সী কিশোরী মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামে। গত তিন মাস পূর্বে একই এলাকার সেলিম চোকদারের মেয়ের সাথে সখ্যতা গড়ে উঠে ওই কিশোরীর। সেই সুবাদে মাঝে মধ্যেই রাতে সেলিম চোকদারের মেয়ের সঙ্গে বাড়িতে থাকতেন রিকশা চালক সুমনের কিশোরী মেয়ে। 

জানা যায়, এক রাতে (আনুমানিক আড়াই মাস আগে) সেলিম চোকদারের মেয়ের সাথে ঘুমিয়ে ছিল ওই কিশোরী। ঘুমন্ত অবস্থায় সেলিম চোকদার কিশোরীকে মুখ চেপে ধরে বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি পরিত্যক্ত জায়গায় নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের এ ঘটনা কাউকে না জানাতে মেয়েটিকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখান সেলিম চোকদার। এতেই ক্ষান্ত হননি তিনি। প্রতিবেশি বন্ধু কিয়াম উদ্দিন হওলাদার ও ইদ্রিস মোল্লাকে নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধর্ষণ করেন সেলিম চোকদার। 

ঘটনাটি চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে অভিযুক্তরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়। তবে সালিশ বসার একদিন পর অদৃশ্য কারণে বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী চুপ হয়ে যায়। পরে সাংবাদিক ও নারী সমাজকর্মীদের হস্তক্ষেপে বিষয়টি আমলে নিয়ে নারী ও শিশু নিযার্তন আইনে পৃথক তিনটি মামলা নেন দোহার থানা পুলিশ।

ধর্ষণের স্বীকার কিশোরীটির পিতা জানান, অভিযুক্তরা তাকে প্রথমে টাকা দিয়ে ঘটনাটি মীমাংসা চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে তাকে বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দিচ্ছে। তিনি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

দোহার থানার ওসি মো. সাজ্জাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নিযার্তন দমন আইনে পৃথক তিনটি মামলা করেছেন। এঘটনায় ধর্ষণের কাজে সহযোগী সুমা নামের এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদের ধরতে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।