ঠাকুরগাঁওয়ে ধর্ষণের মামলা তুলে নিতে বাদীকে মারপিট
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৮:১৭ পিএম, ৬ জুলাই ২০২০ সোমবার
ঠাকুরগাঁওয়ে ধর্ষণ ও অন্তঃস্বত্বা মামলার আসামী পক্ষের লোকজন সোমবার সকালে আবারো মারপিট করেছে বাদীসহ তার বড় মেয়েকে। তাদেরকে বেধড়ক মারপিট করায় তারা এখন হাসপাতালের শয্যায় যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দানারহাট ঠাকুরদিঘী এলাকার সহিদুল্লাহর ছেলে আবু সাদাত (২৪) নামে এক যুবক সদর পৌরএলাকার মুজিব নগর (মন্দিরপাড়ার) বাসিন্দা এক কিশোরী (১৫)’র সাথে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তোলে এবং বিয়ের প্রলোভন একাধিকবার ধর্ষণ করে। এতে ওই কিশোরী অন্তস্বত্বা হয়ে পরে। ঘটনাটি জানতে পেরে ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে সদর থানায় গত ২১মে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় অভযুক্ত আবু সাদাত গ্রেফতার হয়। সম্প্রতি অভিযুক্ত আসামী অস্থায়ী জামিনে জেল থেকে ছাড়া পায়। ছাড়া পেয়েই সে মামলা তুলে নিতে নানান প্রক্রিয়ায় বাদিনীকে হুমকি-ধুমকি দিতে থাকে। এ অবস্থায় গত শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহর থেকে বাসায় ফেরার পখে বাাদিকে একা পেয়ে আবু সাদাতসহ সদর উপজেলার দানারহাট ঠাকুরদিঘী এলাকার সহিদুল্লাহ (৫৫), হিটলার (৪৫) ও পৌর এলাকার মুজিবনগর মন্দিরপাড়ার মাসুদ রানা (৪০)সহ কয়েকজন বাদিনীর পথরোধ করে মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করে। এক পর্যায়ে তারা বাদিনীর উপর হামলা চালিয়ে বেধরক মারপিট করে জখমসহ আহত করে। এ সময় বাদিনী চিৎকার শুরু করলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা বাদিনীকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এঘটনায় সদর থানায় সাধারণ ডায়রি করা হয়।
সোমবার সকালে আবারো মামলার আসামী পক্ষ মাসুদ রানা ও মোছাঃ সিদ্দিকাসহ আরো কয়েকজন আকস্মিক ভাবে বাদীর বাসায় ডুকে প্রথকে তাকে মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করে। এক পর্যায়ে বাদীকে লাঠি দিয়ে বেধরক পিটাতে শুরু করলে বাদীর বড় মেয়ে মাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাকেও মারপিট করতে থাকে। এসময় তারা চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তারা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এব্যাপারে সদর থানার ওসি তানভির আহমেদ জানান, বাদীর উপর হামলার খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। সেময় হামলাকারীদের পাওয়া যায়নি তবে তাদের খোঁজা হচ্ছে।
মামলার বাদিনী কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে জানান, আমার মেয়ে ধর্ষিত ও অন্তঃস্বত্বা হয়ে পড়েছে সেই দুশ্চিন্তায় এমনিতেই রাতে ঘুম আসে না, নাওয়া খাওয়া কিছইু ভালো লাগে না তার উপর আবার আসামীর হুমকি-ধুমকির কারণে আমি আমার মেয়েসহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে আতংকের মধ্যে দিনাতিপাত করছি। এমতাবস্থায় তিনি দ্রুত আইনী সহায়তার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন।
আরকে//