রেডিও পাকিস্তানের নাম পাল্টে ঢাকা বেতার রাখা হয় ৭ই মার্চে
প্রকাশিত : ০৮:৪৪ এএম, ১৩ মার্চ ২০১৬ রবিবার | আপডেট: ০৮:৪৪ এএম, ১৩ মার্চ ২০১৬ রবিবার
একাত্তরের ৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচারে বাধা পেয়ে পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন বেতারকর্মীরা। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশেই সম্প্রচার বন্ধ করে দেন পূর্ব পাকিস্তানের ছয়টি বেতার কেন্দ্রের কর্মীরা। এর আগে ৪ঠা মার্চ রেডিও পাকিস্তান পাল্টে নতুন নাম রাখা হয় ‘ঢাকা বেতার’।
বঙ্গবন্ধুর অসহযোগ আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ে বাংলার আপামর জনতা। বাদ যাননি তৎকালীন রেডিও পাকিস্তানের বাঙালি কর্মীরা। ৪ঠা মার্চই প্রতিষ্ঠানের নাম রেডিও পাকিস্তান বদলে দেয়া হয়।
ঢাকা কেন্দ্র থেকে প্রচার শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলনের খবর। চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, সিলেট ও খুলনা কেন্দ্র থেকেও প্রচার হতে থাকে অসহযোগ আন্দোলনের খবর ও অনুষ্ঠানমালা।
৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সরাসরি সম্প্রচারের প্রস্তুতি নেন ঢাকা বেতারের কর্মীরা। তবে ভাষণ শুরুর পরপরই তা বন্ধ করে দেয় পাকিস্তানের সামরিক শাসকরা।
বেতারের তৎকালীন আঞ্চলিক পরিচালক আশরাফ-উজ-জামান খান বঙ্গবন্ধুকে সামরিক কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞার কথা জানান। বঙ্গবন্ধুও ভাষণে কর্মচারীদের রেডিওতে না যাওয়ার নির্দেশ দেন।
সঙ্গে সঙ্গেই সম্প্রচার বন্ধ করে বেতার কেন্দ্র থেকে বের হয়ে যান কর্মীরা। সহকর্মীদের সঙ্গে রাস্তান নেমে আসেন বেতার কর্মকর্তা আশফাকুর রহমান খান।
বাংলাদেশ বেতারের সাবেক উপমহাপরিচালক (অনুষ্ঠান)
ঢাকা বেতার কেন্দ্র চালুর নির্দেশ দেয় পিন্ডির শাসকরা। তবে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার করতে না দিলে বেতার কেন্দ্রে না যাওয়ার কথা সাফ জানিয়ে দেন বেতারকর্মীরা।
চাপের মুখে নতি স্বীকার করে পশ্চিম পাকিস্তান। ৮ই মার্চ সকাল দেশের ছয়টি বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচার হয় জাতির জনকের ভাষণ।