ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্তের সর্বোচ্চ রেকর্ড

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০১ এএম, ১০ জুলাই ২০২০ শুক্রবার

করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ মহামারীতের আক্রান্তের দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষে। দেশটিতে প্রতিদিন হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন, মারা যাচ্ছেন শয়ে শয়ে। করোনায় এ পর্যন্ত দেশটিতে মারা গেছেন ১ লাখ ৩৪ হাজার ৮৬৭ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ১৩ লাখ ৯২ হাজার ৮০৮ জন। তবে এবার অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে যুক্তরাষ্ট্র। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার ফলাফলে বলা হয়েছে, এক দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৬০ হাজারের বেশি মানুষ। আর মারা গেছেন নয় শতাধিক ব্যক্তি।

এদিকে করোনাভাইরাসের প্রকোপ এমন বৃদ্ধির মধ্যে ট্রাম্প প্রশাসন স্কুল-কলেজ খুলে দেয়ার তোড়জোড় শুরু করেছে। 

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার নতুন করে ৬০ হাজার ২০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ফ্লোরিডায়ই গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ব্যক্তি। টেক্সাসে সাড়ে ৯ হাজার আর ক্যালিফোর্নিয়ায় সাড়ে ৮ হাজার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আর জুনের পর ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৯০০ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়।

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ৩টা পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে মোট ৩১ লাখ ৫৯ হাজার ৪১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এই তথ্য ওয়ার্ল্ডওমিটারসের।

এদিকে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ২১ লাখ ছাড়িয়েছে। এছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭০ লাখ ৩০ হাজার ৬ জন। আর এ মহামারিতে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫ লাখ ৫২ হাজার।

করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) সকালে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

এদিকে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুসারে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৪৮ হাজার ৮২২ জনের এবং আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ২০ লাখ ৯ হাজার ৩০১ জনে। ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৫ লাখ ৬১ হাজার ৯৬৯ জন।

বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, ১ লাখ ৩২ হাজার ২৭৭ জন। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যাও বিশ্বে সর্বোচ্চ, ৩০ লাখ ৫৩ হাজার ৩২৮ জন। আর আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ব্রাজিল। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১৭ লাখ ১৩ হাজার ১৬০ জন। এছাড়া মারা গেছেন ৬৭ হাজার ৯৬৪ জন।

মৃতের সংখ্যায় ব্রাজিলের পরেই আছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৪ হাজার ৬০২ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৮৮ হাজার ৫১১ জন।

করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে ভারত। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ লাখ ৪২ হাজার ৪১৭ জন, যাদের মধ্যে মারা গেছেন ২০ হাজার ৬৪২ জন।

আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ অবস্থানে আছে রাশিয়া। দেশটিতে আক্রান্ত ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৭৪৯ জন। আর মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ৬৫০ জন।

মৃত্যুর দিক থেকে চতুর্থ অবস্থানে আছে ইতালি। দেশটিতে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৯১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৪২ হাজার ১৪৯ জন।

মৃত্যুতে পঞ্চম স্থানে আছে মেক্সিকো। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৩২ হাজার ৭৯৬ জন এবং আক্রান্ত ২ লাখ ৭৫ হাজার ৩ জন। মৃতের দিক থেকে ষষ্ঠ অবস্থানে থাকা ফ্রান্সে মারা গেছেন ২৯ হাজার ৯৩৬ জন এবং আক্রান্ত ২ লাখ ৬ হাজার ৭২ জন।

গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৫টি দেশে ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।

বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়িয়ে এ ছুটি ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়।

ছুটি শেষে করোনার বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেই ৩১ মে থেকে দেশের সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেয়া হয়। তবে বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

আরকে//