রাজশাহীতে করোনায় ব্যবসায়ীর মৃত্যু
রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০২:০৬ পিএম, ১০ জুলাই ২০২০ শুক্রবার
রাজশাহীতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মৃত মাইনুল ইসলাম (৬৫) একজন ঠিকাদার ব্যবসায়ী। তিনি রাজশাহী নগরের রাণীবাজার মোড় এলাকার জাইদুর রহমানের ছেলে।
রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, ‘করোনাক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মাইনুলের লাশ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফন করা হবে। এ জন্য কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
মাইনুল ইসলামের ভাই আতিকুল ইসলাম জানান, ‘করোনা উপসর্গ নিয়ে তাকে গত শনিবার (৪ জুলাই) রামেক হাসপাতালের ২৯ নম্বর (করোনা ওয়ার্ড) ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। পরে তার নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়। এরপর তিনি হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘গত রোববার তার শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি মারা যান। আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে হেতেমখাঁ গোরস্তানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।’
এদিকে, শুক্রবার সকালে রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক এক প্রতিবেদনে জানায়, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজশাহীতে ১ হাজার ৪৬৯ জনের করানা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সিটি এলাকায় ১ হাজার ১৩৫ জন, জেলার বাঘা উপজেলায় ২৩, চারঘাটে ৩১, পুঠিয়ায় ১৯, দুর্গাপুরে ১৭, বাগমারায় ৩৯, মোহনপুরে ৫১, তানোরে ৪৮, পবায় ৯২ এবং গোদাগাড়ী উপজেলায় ১৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজশাহী নগরে ছয়, পবায় তিন, চারঘাটে দুই এবং বাঘা ও মোহনপুর একজন করে মোট ১৩ জন মারা যান। আর রাতে একজন মারা যাওয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৪ জনে। এর মধ্যে নগরীতেই সাতজন।
অপরদিকে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ৩২১ জন। এর মধ্যে নগরীতে ১৯৯, বাঘায় ১০, চারঘাটে ১৩, পুঠিয়ায় ১২, দুর্গাপুরে ৬, বাগমারায় ১৬, মোহনপুরে ৩২, তানোরে ১৭, পবায় ১৫ ও গোদাগাড়ীতে একজন।
আর চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১ হাজার ১৩৫ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে ১৪ জন। বাকিরা নিজ নিজ বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এআই//এমবি