এক প্রেমে তিন খুন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:১০ পিএম, ১০ জুলাই ২০২০ শুক্রবার
ফের অনারকিলিং এর ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশে। কাজিনের সঙ্গে প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে তার সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়েছিল ২১ বছরের তরুণী। 'পরিবারের সম্মান বাঁচাতে' দু জনকেই খুন করল ভাই। তাদের দেহ ঝুলিয়ে দিয়ে এই ঘটনাকে আত্মহত্যার রূপ দিতে চেয়েছিল। আর এক ভাই এই অপরাধ দেখে ফেলায়, তাকেও শেষ করে দেয় অভিযুক্ত।
সম্ভাল জেলার ধানারি থানা এলাকার গাধা গ্রামের ঘটনা। বুধবার পুলিশ অভিযুক্ত বিনীত ও অপরাধে তার সহকারী তিন বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে। বিনীত তার বোন সুখিয়া ও তাদের কাজিন বান্টিকে শ্বাসরোধ করে খুন করে বলে অভিযোগ। মৃতরা হাইস্কুলে ড্রপআউট ছিল। অপরদিকে এই ঘটনা দেখে ফেলায় আর এক ভাই কুলদীপকেও বিনীত খুন করে বলে অভিযোগ। কুলদীপ এমএসসি ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ২৮ জুন বান্টির বিয়ে ঠিক হয়েছিল। তবে তার ঠিক আগে ২৫ জুন সে সুখিয়াকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
এই সময় জানায়- বৃহস্পতিবার সম্ভালের পুলিশ সুপার যমুনা প্রসাদ জানিয়েছেন, '১ জুলাই এক তরুণী ও তার চাচাতো ভাইয়ের দেহ গাছে ঝোলানো অবস্থায় পাওয়া যায়। দেহদুটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে দেখে মনে হয়েছিল এটি আত্মহত্যার ঘটনা। এরপর তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর ৭ জুলাই মৃত তরুণীর ভাইয়ের দেহ একইরকমভাবে গাছে ঝোলানো অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। এরপরই সন্দেহ তীব্র হওয়ায় খোঁজখবর শুরু করে পুলিশ। ধানেরা থানার পুলিশ বিনীত, কিশোরী, শোরাজ ও জগপাল যাদবকে গ্রেফতার করেছে।'
জেরায় পেশায় কৃষক বিনীত পুলিশকে বলেছে যে, সে পরিবারের সম্মান বাঁচাতে তার বোন ও বোনের বয়ফ্রেন্ড তথা তাদের চাচাতো ভাইকে খুন করেছে। ভাই কুলদীপ তার কাজে বাধ সাধায় ও খুনের সাক্ষী হয়ে যাওয়ায় তাকেও সে খুন করে বলে স্বীকার করে নিয়েছে বিনীত। সে পুলিশকে জানিয়েছে, তার বন্ধু জগদীপ মাঠে দেখতে পায় সুখিয়া ও বান্টিকে। এরপরই তাদের খুনের পরিকল্পনা করা হয়। খুনে সাহায্য করার জন্য সে জগপালকে আড়াই লাখ টাকাও দিয়েছে বলে জানিয়েছে বিনীত।
পুলিশ পরে অপরাধস্থল থেকে দড়ি ও অন্যান্য জিনিসপত্র উদ্ধার করে। অভিযুক্তের থেকে আড়াই লাখ টাকাও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ২০১ ও ৩৪ ধারায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
এসি