রাতে আসছে সাহারার মরদেহ, কাল দাফন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:১৭ পিএম, ১০ জুলাই ২০২০ শুক্রবার
থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের মরদেহ আজ শুক্রবার রাতে থাইল্যান্ড থেকে দেশে আনা হবে। আগামীকাল বনানীতে বাবা-মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় তাকে শায়িত করা হবে। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া শুক্রবার বিকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ‘সাহারা আপার মরদেহ আনতে ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইট ব্যাংকক সময় রাত ৯টায় বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হবে। রাতেই সেটি ঢাকায় পৌঁছাবে। এরপর আগামীকাল শনিবার বানানী কবরস্থানে ওনার বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।’
বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ‘জানাজা ও দাফনের সময় এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। আমাদের দলের সিনিয়র নেতারা বসে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বৃহস্পতিবার রাতের থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। অসুস্থ সাহারা খাতুনকে গত ৬ জুলাই এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে থাইল্যান্ডে নেয়া হয়।
জ্বর, অ্যালার্জিসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে অসুস্থ অবস্থায় গত ২ জুন সাহারা খাতুন ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার অবস্থার অবনতি হলে গত ১৯ জুন সকালে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। এরপর অবস্থার উন্নতি হলে তাকে গত ২২ জুন দুপুরে তাকে আইসিইউ থেকে এইচডিইউতে (হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট) স্থানান্তর করা হয়। পরে ২৬ জুন সকালে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আবারও তাকে আইসিইউ নেয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে থাইল্যান্ডে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
১৯৪৩ সালের ১ মার্চ ঢাকার কুর্মিটোলায় জন্মগ্রহণ করা সাহারা খাতুন ছিলেন চিরকুমারী। তার বাবার নাম আব্দুল আজিজ ও মাতার নাম টুরজান নেসা। সাহারা খাতুন তিন মেয়াদ ধরে ঢাকা-১৮ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত সংসদ সদস্য।
২০০৮ সালে মহাজোট ক্ষমতায় এলে প্রথমে তাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়। পরে সেখান থেকে সরিয়ে পাঠানো হয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে।
সাহারা খাতুন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে একজন আইনজীবী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। এছাড়াও তিনি আন্তর্জাতিক মহিলা আইনজীবী সমিতি ও আন্তর্জাতিক মহিলা জোটের সদস্য।
আরকে//