করোনায় বেড়েছে প্রাণী হত্যা (ছবি ঘর)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:১৫ এএম, ১১ জুলাই ২০২০ শনিবার | আপডেট: ০৯:২০ এএম, ১১ জুলাই ২০২০ শনিবার
করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে চীনে পোষা প্রাণী হত্যা করে রাস্তায় ফেলে রাখা হয়- সংগৃহীত
বন্যপ্রাণী শিকারিদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে করোনায়। ইউরোপের সংরক্ষিত বনাঞ্চলগুলোতে পশু ও পাখি শিকার করা হচ্ছে অবৈধভাবে। বিশেষ করে শিকারি পাখি ও স্টার্জন মাছ বেশি হুমকির মুখে।
ফ্যালকাও এবং কার্লোর ব্যস্ততা:
সম্প্রতি ফ্যালকাও এবং কার্লো নামের দুইটি কুকুরের ব্যস্ততা বেড়েছে। তারা বন্যপ্রাণীর বিরুদ্ধে অপরাধ চিহ্নিতকরণ দলের অংশ। কোথায় কোন ঈগল মরে পড়ে আছে, কোথায় মাংস পঁচে গেছে, কোথায় ডিম বিষাক্ত হয়ে আছে, এসব খুঁজে বের করা এদের কাজ। হাঙ্গেরিতে এরা থাকে এরা।
বেড়েছে বন্যপ্রাণী শিকার:
লকডাউন প্রাণীদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছিল। এরা এতটাই নির্ভীক হয়ে উঠেছিল যে হরিণ,বনবিড়ালসহ অনেক প্রাণীর শহরে আনাগোণা দেখা গিয়েছিল। কিন্তু এ সময় বিপদেও পড়েছে অনেক প্রাণী৷ গুলি করে, ফাঁদ পেতে বা বিষ দিয়ে এদের হত্যাও করা হয়েছে।
দায় শখের পাখি শিকারির?
এপ্রিলের লকডাউনের সময় এই লাল চিলটির মরদেহ চেক রিপাবলিকের ক্লাটোভিতে পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, ইউরোপে শখের শিকারিদের পছন্দের ‘গেম বার্ড’ বলে পরিচিত পাখি ও খরগোশগুলো শিকারি পাখিদের কারণে ঝুঁকিতে ছিল। এদের অনেককে মেরে ফেলার এটা একটা কারণ। এছাড়া গৃহপালিত প্রাণীদের রক্ষায়ও এমন কাজ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
স্নিফার ডগের অবদান:
স্লোভাকিয়ায় শিকারি পাখি সংরক্ষকরা জানিয়েছেন, তাদের দলে স্নিফার ডগ বা প্রখর ঘ্রাণ শক্তির কুকুরগুলো যোগ দেয়ার পর থেকে কাজে অনেক সুবিধা হয়েছে। এমনকি অবৈধ শিকারের উৎপাতও কমেছে।
অবৈধ মাছ শিকার:
শুধু যে বন্যপ্রাণীরাই মানুষের অত্যাচারের শিকার হয়েছেন তা নয়, রোমানিয়া, বুলগেরিয়া ও ইউক্রেনে অবৈধ মাছ শিকারও হয়েছে অনেক। এদের দৌরাত্ম্যে সবচয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিলুপ্ত প্রায় স্টার্জন মাছ। ডায়নোসরের আমল থেকে পানির তলে ঘুরে বেড়ানো এই মাছগুলো ধরা এখন নিষিদ্ধ। কিন্তু করোনাকালে দুর্বৃত্তরা শোনেনি সে কথা। (ডয়চে ভেলে)
এমএস/