ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ভ্যাকসিন তৈরিতে ৩৩০০ কোটি দান ভারতীয় ব্যবসায়ীর!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৩৫ এএম, ১১ জুলাই ২০২০ শনিবার | আপডেট: ১১:৩৬ এএম, ১১ জুলাই ২০২০ শনিবার

মহামারি করোনাভাইরাস গোটা দুনিয়াটাকে যেন গ্রাস করে নিতে চাচ্ছে। তাই ভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকসিন তৈরিতে দিনরাত কাজ করে চলেছেন সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা। কিন্তু এখন পর্যন্ত কার্যকরি কোনও ভ্যাকসিনের সন্ধান পাওয়া যায়নি।  মানুষকে বাঁচানোর স্বার্থে এই পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ দ্রুত এগিয়ে নিতে ৩৩০০ কোটি টাকা দান করলেন ভারতীয় ব্যবসায়ী লক্ষ্মী মিত্তল।

লক্ষ্মী মিত্তলের ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে বলা হয়, ওই বিপুল পরিমাণ অর্থ তিনি দিয়েছেন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ভ্যাকসিনোলজি বিভাগকে। এই বিভাগটি জেনার ইনস্টিটিউটের অন্তর্গত। লক্ষ্মী মিত্তলের ওই অনুদানের পর ইনস্টিটিউটের নামও পালটে দেওয়া হয়েছে। নতুন নাম হয়েছে লক্ষ্মী মিত্তল অ্যান্ড ফ্যামিলি প্রফেসরশিপ অফ ভ্যাকসিনোলজি। 

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে অক্সফোর্ড ও ইউকে ইনস্টিটিউট ফর অ্যানিম্যাল হেলথের যৌথ অংশীদারিতে তৈরি হয়েছিল জেনার ইনস্টিটিউট। বর্তমানে বিশ্বের যে কয়টি ভ্যাকসিনকে নিয়ে আশার আলো দেখা যাচ্ছে, তার মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও তাকিয়ে আছে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের দিকেই। সেই ভ্যাকসিনের কাজ যাতে দ্রুত গতিতে চলে, তার জন্যেই অনুদান দিলেন লক্ষ্মী মিত্তল।

জানা গেছে, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কোভিড ভ্যাকসিন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের চূড়ান্ত পর্বে রয়েছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এই ভ্যাকসিন কতটা কার্যকরী, তা পর্যবেক্ষণে চূড়ান্ত ট্রায়ালে রয়েছে। লন্ডনের ১০ হাজার ২৬০ জন শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কের উপর এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকা ও করোনা বিধ্বস্ত ব্রাজিলে ভ্যাকসিনটির ট্রায়াল হয়ে গিয়েছে। 

অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন গ্রুপের প্রধান প্রফেসর অ্যান্ড্রু পোলার্ড জানিয়েছেন, “এই ভ্যাকসিন নিয়ে আমরা প্রচণ্ড আশাবাদী। কিন্তু সবকিছু ঘোষণা করার আগে আমরা দেখে নিতে চাইছি, বয়স্কদের মধ্যে এই ভ্যাকসিন প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারে কিনা। শুধু তাই নয়, যেসব দেশের জনসংখ্যা বিপুল সেখানে এই ভ্যাকসিন কোনও সুরক্ষা দিতে পারে কি না, তাও বোঝার চেষ্টা চলছে।”

এই ট্রায়াল সফল হলেও চলতি বছরে এই ভ্যাকসিন বাজারে আনা সম্ভব নয় বলে জানা গিয়েছে। তবে, ভ্যাকসিন তৈরির কাজে যাতে কোনও ব্যাঘাত না ঘটে, সেই কারণে লক্ষ্মী মিত্তলের এই বিপুল পরিমাণ অর্থ সাহায্য বিশেষ কাজে লাগবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
সূত্র : এই সময়
এএইচ/