ভার্সুয়াল সেশনে বক্তারা-
জলবায়ু-সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নয়নই হতে পারে খাদ্য নিরাপত্তার সমাধান
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:৪৪ পিএম, ১১ জুলাই ২০২০ শনিবার
দেশের খাদ্য নিরাপত্তার সমাধানে জলবায়ু সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নয়ন দরকার। জলবায়ুর পরিবর্তনশীল অভিঘাত থেকে রক্ষার বিষয় গুরুত্ব দিয়ে উন্নয়নের দিকে আগাতে হবে। তবেই প্রকৃত উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তার সমাধান হবে। আজ শনিবার ভার্সুয়াল সেশনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক আবু জাফর আহমেদ মুকুল উপস্থাপনায় আগামীর বাংলাদশ আয়োজিত "জলবায়ু পরিবর্তন ও করোনা কালে খাদ্য নিরাপত্তা “শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনায় প্যানেলিস্ট হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন পিকেএসএফ চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমেদ, ইউনিভাসির্টি অব গ্লোবাল ভিলেজ এর ভাইস-চ্যান্সেলর অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম খান,কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুল মুঈদ এবং শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষক ও সহযোগি অধ্যাপক ড. রঞ্জন রয়।
সূচনা বক্তব্যে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক আবু জাফর আহমেদ মুকুল মহামারি করোনা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রায় ১৭ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়টি জোরালো ভাবে তুলে ধরেন।
ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমেদ করোনাকালে কিভাবে খাদ্য অনিরাপত্তা কমানো যায় এবং জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমিত করা যায় এ বিষয়ে আলোকপাত করেন।
প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম খান, করোনাকালে খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ে তুলে ধরবেন। ড. মোঃ আবদুল মুঈদ, করোনা কালে গৃহীত সরকারের নানা পদক্ষেপ বিষয়ে আলোকপাত করবেন। ড. রঞ্জন রয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সংলাপে একটি উপস্থাপনা প্রদান করবেন।
অনুষ্ঠানটি সূচনা বক্তব্য ও সঞ্চালনা করেন আবু জাফর আহমেদ মুকুল, সহকারী অধ্যাপক শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
এছাড়াও প্ল্যাটফর্মের কোর গ্রুপের সদস্যসহ সহযোগী প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা তাদের মতামত তুলে ধরেন। সংলাপে সরকারি কর্মকর্তা, যুব প্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি, ব্যক্তিখাতের উদ্যোক্তা, সমাজকর্মী, পেশাজীবি এবং গণমাধ্যমকর্মীসহ নাগরিক সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা অনুষ্ঠানে কৃষি পণ্যের রপ্তানির জন্য গুড এগ্রিকালসার প্রাক্টিস (গ্যাপ), প্রসেসিং জোন প্রতিষ্ঠা, কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের জনবল দক্ষ নিয়োগ, কৃষক ও সম্প্রসারন কর্মকর্তাসহ কৃষি সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগনের প্রনোদনা প্যাকেজ প্রদানের অনুরোধ, বিএডিসি এর উন্নত বীজের জন্য প্রশাসনিক জটিলতা কমানো ও কৃষকদের কৃষি পন্যের ন্যায্যমূল্য নির্ধারনের জন্য মূল্য কমিশন বাস্তবায়ন বিষয়ে একমত প্রকাশ করেন।
আরকে//