ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

পৌনে দু’লাখ জনে মাত্র একজন টেকনিশিয়ান!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৪০ পিএম, ১১ জুলাই ২০২০ শনিবার

নাটোরে নমুনা সংগ্রহে ধীরগতি পরিলক্ষিত হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। তবে জনবল সংকটের কারণে নমুনা সংগ্রহে গতি বাড়ছেনা বলে দাবি স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় ২২ লাখ মানুষের জন্য মাত্র ১৩ জন ল্যাব টেকনিশিয়ান কর্মরত রয়েছেন। এ হিসেবে ১ লাখ ৬৯ হাজার ২৩০ জন মানুষের জন্য একজন ল্যাব টেকনিশিয়ানকে কাজ করতে হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টাই তাদের নমুনা সংগ্রহের জন্য ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। 

এতদসত্ত্বেও নাটোরে নিজস্ব পিসিআর ল্যাব বা পরীক্ষাগার না থাকায় সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) ভাইরোলজি বিভাগে পাঠানো হয়। সেখান থেকেও রেজাল্ট পাঠাতে বিলম্ব হওয়ায় অনেককেই শঙ্কা নিয়ে দিন কাটাতে হয়। দেশে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর থেকে গত প্রায় চার মাসে জেলায় ৪ হাজার ৪৭৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রাজশাহী ও ঢাকায় পাঠানো হয়। ইতিমধ্যে ২৮১ জনের রেজাল্ট পজেটিভ এবং ৩ হাজার ৫৯০ জনের রেজাল্ট নেগেটিভ আসে। শনিবার (১১ জুলাই) পর্যন্ত পেন্ডিং রয়েছে ৪২৮টি নমুনা রেজাল্ট। এছাড়া নমুনা বেশী দিন পড়ে থাকার কারণে ১৫৬টি নমুনা অকার্যকর (ইনভ্যালিড) হয়েছে। 

শনিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পরিসংখ্যান সচিব মোঃ ইয়ামিন চৌধুরীর উপস্থিতিতে নাটোরের করোনাসহ সার্বিক বিষয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য তুলে ধরেন জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ মিজানুর রহমান। তিনি নাটোরের এসব সমস্যা সমাধানের জন্য দক্ষ জনবলসহ পিসিআর ল্যাব বরাদ্দের আবেদন জানান। 

সভায় উপস্থিত নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস, নাটোর-১ আসনের সাংসদ শহিদুল ইসলাম বকুল, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রত্না আহমেদ নমুনা সংগ্রহে নাটোরের এমন হতাশাপূর্ণ অবস্থা জানতে পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং দক্ষ জনবলসহ নাটোরে একটি পিসিআর ল্যাব স্থাপনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষণসহ তা বাস্তবায়নের দাবী জানান তারা।

এনএস/